পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७ ] ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে-সাকার ও নিরাকার-তত্ত্ব । পূৰ্ব প্রস্তাবে আমি কয়েকটী কথা বড় বড় অক্ষরে দিয়াছি; তাহা হইতেই পাঠকগণ সাকার ও নিরাকার তত্ত্ব সম্বন্ধে কাঙ্গাল হরিনাথের মনের কথা বুঝিতে পারিয়াছেন। কিন্তু এই কথাটা লইয়া আবহমানকাল হইতেই তর্ক চলিয়া আসিতেছে ; এ সম্বন্ধে নানা ধৰ্ম্মসম্প্রদায় নানা মত প্ৰকাশ করিয়া আসিতেছেন। সেই জন্য বৰ্ত্তমান প্ৰস্তাবে সাকার ও নিরাকার তত্ত্ব সম্বন্ধে কাঙ্গাল হরিনাথ আরও যাহা বলিয়াছেন, তাহার পরিচয় প্ৰদান করা আমি কৰ্ত্তব্য মনে করিয়াছি। “কাঙ্গাল হরিনাথ’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডের এক স্থানে এই সাকার নিরাকার সম্বন্ধে কাঙ্গালের একটা কথা আমি বলিয়াছি; এখানে সেই কথাটা পুনরায় বলিবার প্রলোভন আমি সংবরণ করিতে পারিলাম না। আমি একদিন কাঙ্গাল হরিনাথকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, “আচ্ছা দাদা, ঈশ্বর সাকার না নিরাকার ?” কাঙ্গাল আমার কথার উত্তরে বলিয়াছিলেন যে, আমরা বানান জানি না। সেজন্য গোল করি। তিনি বলিয়াছিলেন প্ৰথমে বানান করিতে হইবে ‘নীরাকার” অর্থাৎ জলের মত আকার। জল যেমন যে পাত্রে থাকে, তখন সেই প্রকার তাহার আকার হয় ; ঈশ্বরও তেমনই ; যেমন পাত্রে থাকেন, তাহার তেমনই আকার হয়। তাহার পর এই “নীরাকার’ ‘নীরাকার’ বলিতে বলিতে-ঐ কথা সাধন করিতে করিতে শেষে দেখিতে পাওয়া যায় যে, “নীরাকারের” 88