পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহা হইলে আর কৰ্ম্মের বোঝা আমার স্কন্ধে চাপে কাই! যিনি কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত করেন, বোঝাও তিনিই বইবেন, আমি কোথাকার মাধ্যইদাস। যখন হৃষীকেশ তোমার হৃদয়ে থাকিয়া তোমাকে কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত করাইতেছেন, তখন তোমার কৰ্ম্মও নাই, অকৰ্ম্মও নাই, ধৰ্ম্মও নাই—অধৰ্ম্মও নাই, তুমি তখন ত মুক্তপুরুষ। কথাটা বুঝিয়া উঠিতে পারিলাম না। মনে হইল কাঙ্গালের রত্নভাণ্ডার একবার খুলিয়া দেখি না কেন; তিনি কৰ্ম্মের সম্বন্ধে কি বলিয়াছেন। তখন কাঙ্গালের ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ খুজিতে লাগিলাম ;-কখনও ব্রহ্মাণ্ড খুজিতে পারি না, কোন দিন পারিব বলিয়া আশাও করি না । ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে দেখিলাম, সবই পাওয়া যায়, সকল প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যায়। তবে সে উত্তর যদি বুঝিতে না পারি, তাহার জন্য দোষী কে ?-এই অধম। ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ খুজিতে খুজিতে দ্বিতীয়ভাগের সপ্তম সংখ্যার ২০২ পৃষ্ঠায় দেখিলাম কাঙ্গাল “কৰ্ম্মোৎপত্তি'র কথা লিখিয়াছেন। বিশেষ মনোযোগের সহিত প্ৰস্তাবটী পড়িয়া দেখিলাম। পাঠকগণকেও তাহা একবার শুনাই। প্রস্তাবটা একটু দীর্ঘ, কিন্তু ‘কৰ্ম্ম ও ‘কৰ্ম্মফল ও ত ছোট নহে ; তাহ শুনিয়াছি এক জীবনে শেষ হয় না, পরজীবনেও না কি তাহার জের চলে । অতএব এত জীবন দীর্ঘ কৰ্ম্মফলই যদি ভোগ করিতে পারেন, তখন তাহার সম্বন্ধে কাঙ্গাল যদি গুটিকয়েক কথা বেশীই কহিয়া থাকেন, তাহাও শ্রবণ করুন। - কাঙ্গাল বলিতেছেন—“ভগবান যখন নিগুণ ব্ৰহ্ম ছিলেন, তখন কোন কৰ্ম্মই ছিল না। কৰ্ম্মের হেতু, সদসদাত্মিক শক্তি, কালশক্তি, ও চৈতন্যশক্তি তঁহাতে লীন ছিল। সুতরাং তখন কোন কৰ্ম্মই ছিল না। নিগুণ ব্ৰহ্মের সেই শক্তিত্ৰয় প্রকাশের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গেই কৰ্ম্মের উৎপত্তি হইয়াছে। এতদ্বারা স্পষ্ট;জানা যাইতেছে যে, শক্তি Neo