পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয় এবং সেই পুণাই ভগবানের নিতানন্দধামে গমন করিবার পথ বটে। কিন্তু পথ কখনও নিত্যানন্দধাম নহে। তুমি কোন তীৰ্থস্থানে যাইতে পথ বহন করিতেছি ; সেই পথ যেমন তীর্থ স্থান নহে এবং বহন করিয়া পথ পরিত্যাগ না করিলেও তীর্থগমন উপস্থিত হইতে পারে না ; তদ্রুপ পুণ্য পরিত্যাগ না করিলেও সেই নিত্যানন্দধামে কেহ যাইতে পারে না । অশুভবাসনা হইতেই পাপকৰ্ম্মের উৎপত্তি হয় এবং সেই পাপই লোকের অধোগতির কারণ। যেমন আলোক ও অন্ধকার, সেইরূপ পুণ্য আর পাপ। অন্ধকারময় স্থানে যেমন কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না, সেইরূপ পাপাচ্ছন্ন চিত্ত হিতাহিত কিছুই বুঝিতে পারে না। পাপ পরিত্যাগ করিব বলিলেই যে, লোকে হঠাৎ পাপ পরিত্যাগ করিতে পারে, তাহা নহে। আলোক না জ্বালিলে যেমন অন্ধকার যায় না, সেইরূপ পুণ্যকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান ব্যতীত পাপ দূর হয় না। এই নিমিত্ত পণ্ডিতগণ পাপাসক্ত ব্যক্তিগণের প্রতি নানাপ্রকার পুণ্যকৰ্ম্মানুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিয়াছেন। আবার যাহারা পুণ্যপথে ভ্ৰমণ করিতেছেন, তাহাদিগকে পুণ্য পরিত্যাগ করিয়া নিত্যানন্দধামে যাইতে উপদেশ দিয়াছেন। পাপাসক্ত ব্যক্তি যদি সে সত্য উপদেশানুসারে পুণ্য পরিত্যাগ করে, তাহা হইলে সে ব্যক্তি নিত্যানন্দধামে যাইতে পারে না ; সে যতই পুণ্যকৰ্ম্ম পরিত্যাগ করে, ততই ঘোরতর অন্ধকার স্থানে পতিত হইয়া ক্রমেই অধোগতি প্ৰাপ্ত হইয়া থাকে। অতএব চিকিৎসক যেমন রোগবিশেষের পৃথক ঔষধ ও পথ্যের ব্যবস্থা করিয়া দেন, পণ্ডিতগণও তদ্রুপ অধিকারবিশেষে ধৰ্ম্মপথের ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। এক রোগে অন্য ঔষধ যেমন অপকারী হয়, তদ্রুপ এক প্ৰকার অধিকারীর পক্ষে অন্য প্ৰকার ধৰ্ম্মনিয়ম বা ব্যবস্থা অপকারক হইয়া থাকে। চিকিৎসক ব্যতীত যেমন রোগের নির্ণয় হয় না, সেইরূপ গুরু ব্যতীত ধৰ্ম্মপথগামী লোকের অধিকার নিশ্চয় করিতে অন্য কাহারও 8