পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইতে পরিবেন না। কারণ, ভগবান স্বয়ং গুরুরূপে অবতীর্ণ হইয়া আপনার স্বরূপ, রূপ, রস ও শক্তি লোকদিগকে উপদেশ করিয়াছেন, এবং সাধন করিতে পারিলে এখনও মানুষ্যের ললাটে গুরুরূপে প্ৰকাশিত হইয়া আপনার স্বরূপাদি সকল তত্ত্ব উপদেশ করিয়া থাকেন । ইহা ব্যতীত কেহ তঁহার তত্ত্ব বুঝিতে পারে না। এখন কিন্তু সকলেই গুরু হইতে চাহেন, কেহ শিষ্য হইতে ইচ্ছা করেন না। যে বলে সেই গুরু, যে শুনে সেই শিষ্য। গুরুও যে শক্তিতে বলেন, শিষ্যও সেই শক্তিতে শুনিয়া থাকেন। এই শক্তি কি ? ইহার নাম কুণ্ডলিনী শক্তি। কুণ্ডলিনী যাহার প্রকাশ হইয়াছে, তিনি গুরু এবং কুণ্ডলিনী যাহা দ্বারা প্ৰকাশিত হন অর্থাৎ তিনি অব্যক্ত হইয়াও সব্যক্ত হন, তাহারই নাম গুরুমন্ত্র। আবার সেই মন্ত্র গ্রহণ করিয়া যিনি অব্যক্তরূপিণী কুণ্ডলিনীকে ব্যক্তি করিতে চেষ্টা, যত্ন ও পরিশ্রম করেন, তিনি শিষ্য। এই গুরু-শিষ্যের R(*J কেহই ठूशन न८श्न, छेऊ८श्शे সাধু। বস্তুতঃ এই গুরুশিষ্য প্ৰথা ব্যতীত ভগবৎতত্ত্ব জানিবার অন্য উপায় নাই, ইহা অব্যর্থ সত্য। প্ৰকারান্তরে বা রূপান্তরে ঐ প্রকার কাৰ্য্য সাধিত হইলে তাহাকেও গুরুশিষ্য প্ৰথা বলিয়াই স্বীকার করিতে হইবে। কারণ ইহা ব্যতীত ঈশ্বরতত্ত্ব জানিবার আর উপায় নাই ।” উদ্ধত অংশের মধ্যে কাঙ্গাল হরিনাথ অনেক স্থলে “কুণ্ডলিনী শক্তির” কথা বলিয়াছেন; কেবল বলা নহে, ঐ শক্তিমানকেই তিনি প্রকৃত গুরু বলিয়াছেন। যাহারা যোগশাস্ত্ৰ আলোচনা করিয়াছেন এবং যাহারা যোগসাধন করিয়াছেন, তাহারা “কুণ্ডলিনী” কি, তাহার স্বরূপ কি, তাহা বিশেষভাবে অবগত আছেন ; কিন্তু যাহারা যোগশাস্ত্রের আলোচনা করেন। নাই, বা যাহারা উক্ত পথের পথিক নহেন, তাহারা জিজ্ঞাসা করিতে পারেন ‘কুণ্ডলিনী’ কি ? তাহদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন S