পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার গীতাবলির মধ্য হইতে তাঁহাকে খুজিয়া বাহির করিবার চেষ্টা করিতেছিা! যাক, সে কথা বলিয়া আর কি হইবে ? যাহা গিয়াছে, হেলায় যাহা হারাইয়াছি, তাহার জন্য অনুশোচনা করিয়া কি করিব ? এখন তিনি যাহা রাখিয়া গিয়াছেন, তাহারই মধ্য হইতে তাহার স্বরূপ বাহির করিতে হইবে। তাই এই জাতিভেদের কথা বলিতে আরম্ভ করিতেই তাহার একটি গান সর্বাগ্রে আমার মনে পড়িয়া গেল। সেই গানটিই আমি প্ৰথমে পাঠকগণকে উপহার দিই। আমার ত মনে হয়, এই গান হইতেই জাতিভেদ সম্বন্ধে কাঙ্গালের মনের কথা সকলে বুঝিতে পরিবেন। গানটি এই— “যারা সব জাতের ছেলে জা’ত নিয়ে যাক যমের হাতে। বুঝেছি জাতের ধৰ্ম্ম, কৰ্ম্মভোগ কেবল জেতে । ১ । অজাতে জন্ম হোলো, জাতের বিচার কি করব বল, মা-বাপের নাই জাতিকুল, কুলধ্বজ কুলাচার মতো। (আমি) ২। সগোত্রে বিবাহ আমার, সকল কুলের কুলীন আবার ; কুলাচার শাস্ত্র আমার, নিষেধ জাতিকুল রাখিতে! (কুলাচারে) ৩। মা আমার কুণ্ডলিনী, অকুলের কুলকারিণী, মূলাধারে জাগলে তিনি, কুল ডোবে রে অকুলেতো। (জাতি) ৪ । কাঙ্গালের জাত কুল কোথায়, জাত হারায় অজাতের সেবায় ; একঘরে করেছে সবায়, নিষেধ নিমন্ত্রণ দিতে। (যামের)” জাতিভেদ সম্বন্ধে কাঙ্গালের আর একটি গানও এই স্থলে উদ্ধত ኪ?”(፩