পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Նաo কাদম্বরী। দেখিয়া কপিঞ্জলের দুই চক্ষু হইতে আশ্রস্রোত বহিতে লাগিল। দ্বিগুণ শোকাবেগ হইল। অতিশয় পরিতাপপূৰ্ব্বক হা হতোহম্মি বলিয়া আরও উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিলেন । ৫ তখন মূৰ্ছ দ্বারা আক্রান্ত ও মোহে নিতান্ত অভিভূত হইয়া বোধ হইল যেন, অন্ধকায়ময় পাতালতলে অবতীর্ণ হইতেছি । তদনন্তর কোথায় গেলাম, কি বলিলাম, কিছুই মনে পড়ে না । স্ত্রীলোকের হৃদয় পাষাণময় এই জন্যই হউক, এই হতভাগিনীকে দীর্ঘ শোক ও চিরকাল দুঃখ সস্থ করিতে হইবে বলিয়াই হউক, দৈবের অত্যন্ত প্রতিকূলতাবশতই বা হউক, জানি না, কি নিমিত্ত এই অভাগিনীর প্রাণ বহির্গত হইল না। অনেক ক্ষণের পর চেতন হইয়া ভূতলে বিলুষ্ঠত ও ধূলিধূসরিত আত্মদেহ অবলোকন করিলাম। প্ৰাণেশ্বর প্রাণ ত্যাগ করিয়াছেন, আমি জীবিত আছি, প্রথমতঃ ইহা নিতান্ত অসম্ভাব্য, অবিশ্বাস্য ও স্বপ্লকল্পিত বোধ হইল। কিন্তু কপিঞ্জলের বিলাপ শুনিয়া সে ভ্রান্তি দূর হইল। তখন হা হতাস্মি বলিয়া আৰ্ত্তনাদ ও পিতা, মাতা, সখীদিগকে সম্বোধন করিয়া উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ করিতে লাগিলাম। ৬ হে জীবিতেশ্বর! এই অনাথাকে পরিত্যাগ করিয়া কোথায় গেলে ? তুমি তরলিকাকে জিজ্ঞাসা কর আমি তোমার নিমিত্ত কত কষ্ট ভোগ ও কত ক্লেশ সহ করিয়াছি। তোমার বিরহে এক দিন যুগসহস্ত্রের ন্যায় বোধ হইয়াছে। প্রসন্ন হও, এক বার আমার কথার উত্তর দাও । আমি লজ্জা, ভয়, কুলে জলাঞ্জলি দিয়া তোমার শরণাপন্ন হইতে আসিয়াছি, তুমি রক্ষা না করিলে আয় কে রক্ষা করিবে ? এক বার নেত্র উন্মীলন করিয়া এই অভাগিনীর