পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী । >ግ দূর করিয়া, অজ্ঞাতকুলশীল এই শঙ্ক পরিহার করিয়া, অসঙ্কুচিত ও নিঃশঙ্ক চিত্তে সুহৃদের ন্যায় ইহার সহিত বিশ্রম্ভ আলাপ কর এই বলিয়া মহাশ্বেত চন্দ্রাপীড়ের পরিচয় দিয়া দিলেন । মহাশ্বেতা ও কাদম্বরী এক পর্যাঙ্কে উপবেশন করিলেন। রাজকুমার অন্ত এক সিংহাসনে বসিলেন। কাদম্বরীর সঙ্কেত মাত্র বেণুরব, বীণাশদ ও সঙ্গীত নিবৃত্তি হইল। মহাশ্বেতা স্নেহসম্বলিত মধুর বচনে কাদম্বরীর অনাময় জিজ্ঞাসা করিলেন। কাদম্বরী কহিলেন সকল কুশল। ৮ । মনোভবের কি অনিৰ্ব্বচনীয় প্রভাব! প্রণয় পরাঘুখ ব্যক্তির অন্তঃকরণও উহার প্রভাবের অধীন হইল। কাদম্বরীর নিরুৎসুক চিত্তেও অনুরাগ অজ্ঞাতসারে প্রবেশিল । তিনি মহাশ্বেতার সহিত কথা কহেন ও ছলক্রমে এক এক বার চন্দ্রাপীড়ের প্রতি কটাক্ষ পাত করেন। মহাশ্বেতা উভয়ের ভাব ভঙ্গি দ্বারা উভয়ের মনোগত ভাব অনায়াসে বুঝিতে পারিলেন। কাদম্বরী তাম্বুল দিতে উদ্যত হইলে কহিলেন সখি ! চন্দ্রাপীড় আগন্তুক, আগন্তুকের সন্মান করা অগ্ৰে কৰ্ত্তব্য। চন্দ্রাপীড়ের হস্তে অগ্ৰে তাম্বুল প্রদান করিয়া অতিথি সৎকার কর, পরে আমরা ভক্ষণ করিব। কাদম্বরী ঈষৎ হাস্ত করিয়া মুখ ফিরাইয়া আন্তে আস্তে কহিলেন প্রিয় সখি ! অপরিচিত ব্যক্তির নিকট প্ৰগলভতা প্রকাশ করিতে আমার সাহস হয় না। লজ্জা যেন আমার হস্ত ধরিয়া তাম্বুল দিতে বারণ করিতেছে। অতএব আমার হইয়া তুমি রাজকুমারের করে তাম্বুল প্রদান কর। মহাশ্বেতা পরিহাসপূর্বক কহিলেন আমি তোমার প্রতিনিধি হইতে পারিব না। আপনার কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম আপনিই o