পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ বৈশম্পায়নের বৈরাগ্য ও মৃত্যু আপনি বৈশম্পায়নকে স্কন্ধাবার লইয়া আসিবার ভার দিয়া প্রস্থান করিলে তিনি কহিলেন, পুরাণে শুনিয়াছি অচ্ছোদসরোবর অতি পবিত্র তীর্থ। অশেষ ক্লেশ স্বীকার করিয়া ও লোকে তীর্থ দর্শন করিতে যায়। আমরা সেই তীর্থের নিকটে আসিয়াছি, অতএব এক বার না দেখিয়া এখান হইতে যাওয়া উচিত নয়। আচ্ছোদসরোবরে স্নান করিয়া এবং তৰ্ত্তীরস্থিত ভগবান শশাঙ্কশেখরকে প্রণাম ও প্রদক্ষিণ করিয়া যাত্রা করা যাইবেক । এই বলিয়া সেই সরোবর দেখিতে গেলেন । তথার বিকসিত কুসুম, নিৰ্ম্মল জল, রমণীয় তীরভূমি, শ্রেণীবদ্ধ তরু, কুসুমিত লতাকুঞ্জ দেখিয়া বোধ হইল যেন, বসন্ত সপরিবারে ও সবান্ধবে তথার বাস করিতেছেন। ফলতঃ তাদৃশ রমণীয় প্রদেশ ভূমণ্ডলে অতি বিরল। বৈশম্পায়ন তথায় ইতস্ততঃ দৃষ্টি পাতপূর্বক এক মনোহর লতামণ্ডপ দেখিলেন। ঐ লতামগুপের অভ্যন্তরে এক শিল পতিত ছিল। পরম প্রীতিপাত্র মিত্রকে বহুকালের পর দেখিলে অন্তঃকরণে যেরূপ ভাবোদয় হয়, সেই লতামণ্ডপ দেখিয়া বৈশম্পায়নের মনে সেইরূপ অনিৰ্ব্বচনীয় ভাবোদয় হইল। তিনি নিমেষশূন্ত নয়নে সেই দিকে দৃষ্টি পাত করিয়া রহিলেন। ক্রমে নিতান্ত উন্মনা হইতে লাগিলেন। পরিশেষে