পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.SvరిJ9 কদম্বরী। আমি আর জীবন ধারণ করিতে সমর্থ নহি ।” মনোরমা কাতরস্বরে অন্তঃপুরে এইরূপ নানা প্রকার বিলাপ করিতেছেন, শুনিতে পাইলেন। অনন্তর বিষন্ন বদনে মহারাজ ও শুকনাসকে প্রণাম করিয়া আসনে বসিলেন । ৬ রাজা কহিলেন বংস চন্দ্রপীড় । তোমার সহিত বৈশম্পায়নের যে প্রণয় তাহ বিলক্ষণ অবগত আছি। কিন্তু তাহার এই অকুচিত কৰ্ম্ম দেখিয়া আমার অন্ত:করণ তোমার দোষ সস্তাবনা করিতেছে। রাজার কথা সমাপ্ত না হইতেই শুকনাস কহিলেন দেব ! যদি শশধরে উষ্ণতা, অমৃতে উগ্রতা ও হিমে দহিশক্তি জন্মে, তথাপি নির্দোষস্বভাব চন্দ্রাপীড়ের দোষশঙ্কা হইতে পারে না । একের অপরাধে অন্যকে দোষী জ্ঞান করা অতি অন্যায় কৰ্ম্ম । মাতৃদ্রোহী, পিতৃঘাতী, কুতন্ত্র, দুরাচার, দুষ্কৰ্ম্মান্বিতের দোষে সুশীল চন্দ্রাপীড়ের দোষ সম্ভাবন করা উচিত নয়। যে পিতা মাতার অপেক্ষা করিল না, রাজাকে গ্রাহ করিল না, মিত্রতার অনুরোধ রাখিল না, চন্দ্রাপীড় তাহার কি করিবেন ? তাহার কি এক বারও ইহা মনে হইল না যে, আমি পিতা মাতার একমাত্র জীবননিবন্ধন, আমাকে না দেখিয়া কিরূপে র্তাহারা জীবন ধারণ করিবেন। এক্ষণে বুঝিলাম কেবল আমাদিগকে দুঃখ দিবার নিমিত্তই সে ভূতলে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিল। বলিতে বলিতে শোকে শুকনাসের অধর ক্ষুরিত ও গণ্ডস্থল অশ্রুজলে পরিপ্লুত হইল । রাজা তাহার সেইরূপ অবস্থা দেখিয়া কছিলেন অমাত্য ! যেরূপ থম্ভোতের আলোক দ্বারা অনলপ্রকাশ, অনল দ্বারা রবির প্রকাশ, অন্মদ্বিধ ব্যক্তি কর্তৃক তোমার পরিবোধনও সেইরূপ।