পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী। S-98 কিন্তু বর্ষাকালীন জলাশয়ের ন্যায় তোমার মন কলুষিত হইয়াছে। কলুষিত মনে বিবেকশক্তি স্পষ্টরূপে প্রকাশিত হয় না। সে সময় অদূরদর্শাও দীর্ঘদশীকে অনায়াসে উপদেশ দিতে পারে। অতএব আমার কথা শুন । এই ভূমণ্ডলে এমন লোক অতি বিরল, যাহার যৌবনকাল নিৰ্ব্বিকার ও নির্দোষে অতিক্রান্ত ছয় । যৌবনকাল অতি বিষম কাল । এই কালে উত্তীর্ণ হইলে শৈশবের সহিত গুরুজনের প্রতি স্নেহ বিগলিত হয় । বক্ষঃস্থলের সহিত বাঞ্ছা বিস্তীর্ণ হয়। বাহুযুগলের সহিত বুদ্ধি স্থল হয়। মধ্যভাগের সহিত বিনয় ক্ষীণ হয় । এবং অকারণেই বিকারের আবির্ভাব হয় । বৈশম্পায়নের কোন দোষ নাই, ইহা কালের দোষ । কি জন্য তাহার বৈরাগ্যোদয় হইল, তাহ বিশেষরূপে না জানিয়া দোষাপণ করাও বিধেয় নয়। অগ্রে তাহাকে আনয়ন করা যাউক। তাহার মুখে সমুদায় বৃত্তান্ত অবগত হইয়া যাঙ্গ কৰ্ত্তব্য, পরে করা যাইবেক । শুকনাস কহিলেন মহারাজ ! বাৎসল্য প্রযুক্ত এরূপ কহিতেছেন। নতুবা, যাহার সহিত একত্র বাস, একত্র বিদ্যাভ্যাস ও পরম সোঁহার্দে কাল যাপন হইয়াছে, পরম প্রীতিপাত্র সেই মিত্রের কথা অগ্রাহ করা অপেক্ষা আর কি অধিক অপরাধ হইতে পারে ? ৭ চন্দ্রাপীড় নিতান্ত দুঃখিত হইয়। বিনয়ুবচনে কহিলেন তাত । এ সকল আমারই দোষ, সন্দেহ নাই। এক্ষণে অনুমতি করুন আমি, স্বীয় পাপের প্রায়শ্চিত্তের নিমিত্ত, অচ্ছোদসরোবরে গমন করি এবং বৈশম্পায়নকে নিবৃত্ত করিয়া আনি। অনন্তর পিতা, মাতা, শুকনাস ও মনোরমার নিকট বিদায় লইয়া ইন্দ্রায়ুধে আরোহণপূৰ্ব্বক বন্ধুর অন্বেষণে চলিলেন। শিপ্রানদীর তীরে সে দিন