পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

?>ßb~ কাদম্বরী । হইল : এক্ষণে প্রজার কাহার মুখ নিরীক্ষণ করিবে, আমরা কাহার শরণাপন্ন হইব । এ কি ? বিনা মেঘে বজ্রাঘাত । চন্দ্রাপীড় কোথায় ? মহারাজ এই কথা জিজ্ঞাসা করিলে আমরা কি উত্তর দিব। পরিচারকেরা হা হতোহস্মি বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে এইরূপে বিলাপ করিয়া উঠিল। ইন্দ্রাযুদ্ধ চন্দ্রাপীড়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া রহিল। তাহার নয়নযুগল হইতে অজস্র অশ্রুবারি বিনির্গত হইতে লাগিল । ১ এ দিকে পত্ৰলেখার মুখে চন্দ্রাপীড়ের আগমনবাৰ্ত্তা শ্রবণ .করিয়া কাদম্বরীর আনন্দের আর পরিসীমা রহিল না। প্ৰাণেশ্বরের সমাগমে এরূপ সমুৎসুক হইলেন যে, তাহার আগমন পৰ্য্যন্ত প্রতীক্ষা করিতে পারিলেন না । প্রিয়তমের প্রত্যুদগমন করিবার মানসে উজ্জল বেশ ধারণ করিলেন। মণিময় অলঙ্কারে ভূষিত হইয়া গাত্রে অঙ্গরাগ লেপনপূর্বক কষ্ঠে কুসুমমালা পরিলেন। মুসজ্জিত হইয়া কতিপয় পরিজনের সহিত বাটীর বহির্গত হইলেন । যাইতে যাইতে মদলেখাকে জিজ্ঞাসিলেম মদলেখে । পত্ৰলেখার কথা কি সত্য, চন্দ্রপীড় কি আসিয়াছেন ? আমার ত বিশ্বাস হয় না। র্তাহীর তৎকালীন নিৰ্দ্দয় আচরণ স্মরণ করিলে তাহার আর কোন কথায় শ্রদ্ধা হয় না। আমার হৃদয় কম্পিত হইতেছে । পাছে তাহার আগমন বিষয়ে হতাশ হইয়া বিষন্নচিত্তে ফিরিয়া আসিতে হয় । বলিতে বলিতে দক্ষিণ চক্ষু স্পদ হইল। ভাবিলেন এ আবার কি ! বিধাতা কি এখনও পরিতৃপ্ত হন নাই, আবারও দুঃখে নিক্ষিপ্ত করিবেন। এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে মহাশ্বেতার আশ্রমে উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন সকলেই বিষন্ন,