পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S68 কাদম্বরী। শাপ দেওয়াতে আমি ক্রোধান্ধ হইলাম এবং বৈরনিৰ্য্যাতনের নিমিত্ত এই বলিয়া প্রতিশীপ প্রদান করিলাম “রে মূঢ় । তুই এবার যেরূপ বাতন ভোগ করিলি, বারম্বার তোকে এইরূপ যাতনা ভোগ করিতে হইবেক ।” ক্রোধ শান্তি হইলে ধ্যান করিয়া দেখিলাম, আমার কিরণ হইতে অঙ্গরাদিগের যে কুল উৎপন্ন হয়, সেই কুলে গৌরীনামী গন্ধৰ্ব্বকুমারী জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার দুহিতা মহাশ্বেত এই মুনিকুমারকে পতিরূপে বরণ করিয়াছে। তখন সাতিশয় অনুতাপ হইল। কিন্তু শাপ দিয়াছি আর উপায় কি ? এক্ষণে উভয়ের শাপে উভয়কেই মন্ত্যলোকে দুই বার জন্ম গ্রহণ করিতে হইবেক, সন্দেহ নাই। যাবৎ শাপের অবসান না হয় তাবৎ তোমার বন্ধুর মৃত দেহ এই স্থানে থাকিবেক । আমার সুধাময় কর স্পর্শে ইহা বিকৃত হইবেক না । শাপাবসানে এই শরীরেই পুনৰ্ব্বার প্রাণ সঞ্চার হইবেক, এই নিমিত্ত, ইহা এখানে আনিয়াছি। মহাশ্বেতাকেও আশ্বাস প্রদান করিয়া আসিয়াছি। তুমি এক্ষণে মহর্ষি শ্বেতকেতুর নিকটে গিয়া এই সকল বৃত্তান্ত বিশেষ করিয়া তাহার সমক্ষে বর্ণন কর। তিনি মহাপ্রভাবশালী, অবশ্য কোন প্রতীকার করিতে পরিবেন । ৭ চন্দ্রমার আদেশানুসারে আমি দেবমাৰ্গ দিরা শ্বেতকেতুর নিকট যাইতেছিলাম। পথিমধ্যে অতি কোপনস্বভাব এক বিমানচারীর উল্লঙ্ঘন করাতে তিনি ভ্ৰকুটিভঙ্গি দ্বারা রোষ প্রকাশপূৰ্ব্বক আমার প্রতি নেত্র পাত করিলেন। তাহার আকার দেখিয়। বোধ হইল যেন, তিনি রোষানলে আমাকে দগ্ধ করিতে উদ্যত হইয়াছেন। অনন্তর “রে দুরাত্মন্‌! তুই মিথ্যা তপোবলে গৰ্ব্বিন্ত