পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कiनश्चईो । ১৭১ পরিত্রাণের উপায়স্তর নাই। তোমরা এক্ষণে বিদায় হও এবং আপন আপন আলয়ে গমন করিয়া মুখে রাজ্য ভোগ কর। আমি এই স্থানেই জীবন ক্ষেপ করিব, মানস করিয়াছি। এই বলিয়া সকলকে বিদায় করিলেন এবং তদবধি তপস্বিবেশে জগদীশ্বরের আরাধনায় অনুরক্ত হইলেন। তরুমূলে হাবুদ্ধি, হরিণশাবকে মৃতস্নেহ সংস্থাপনপূৰ্ব্বক সস্ত্রীক শুকনাসের সহিত প্রতিদিন চন্দ্রাপীড়ের মুখচন্দ্র দর্শন করিয়া মুখে কাল ক্ষেপ করিতে লাগিলেন । ২৩ মহর্ষি জাবালি এইরূপে কথা সমাপ্ত করিয়া হান্তপূৰ্ব্বক মুনিকুমারদিগকে কহিলেন দেখ ! আমি অন্তমনস্ক হইয়া তোমাদিগের অভিপ্রেত উপাখ্যান অপেক্ষাও অধিক বলিলাম। যাহা হউক, যে মুনিতনয় মদনবাণে আহত হইয়। আত্মকৃত অবিনয়জন্ত মর্ত্যলোকে শুকনাসের ঔরসে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং তদনন্তর মহাশ্বেতার শাপে তির্যাগ জাতিতে পতিত হন, তিনি এই। এই কথা বলিয়া অঙ্গুলি দ্বারা আমাকে নির্দেশ করিয়া দেখাইয়া দিলেন। ২৪ তাহার কথাবসানে জন্মান্তরীণ সমুদায় কৰ্ম্ম আমার স্মৃতিপথারূঢ় এবং পূৰ্ব্বজন্মশিক্ষিত সমুদায় বিদ্যা আমার জিহাগ্ৰবৰ্ত্তিনী হইল। তদবধি মনুষ্যের ন্যায় সুস্পষ্ট কথা কহিতে লাগিলাম। বোধ হইল যেন এত দিন নিদ্রিত ছিলাম, এক্ষণে জাগরিত হইলাম। কেবল মহষ্যদেহ হইল না, নতুবা চন্দ্রাপীড়ের প্রতি সেইরূপ স্নেহ, মহাশ্বেতার প্রতি সেইরূপ অনুরাগ এবং তাহার প্রাপ্তি বিষয়েও সেইরূপ ঔৎসুক্য জন্মিল। পক্ষেপ্তেদ না হওয়াতে কেবল কায়িক চেষ্ট হইল না। পূর্ব পূৰ্ব্ব জন্মের সমুদায় বৃত্তান্ত স্মৃতিপথারূঢ় হওয়াতে পিতা, মাতা, মহারাজ তারাপীড়, মহিষী বিলাসবতী, বয়স্ত চন্দ্রাপীড় এবং প্রথম