পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতেছি ; পাঠ করিলেই আমার উক্তির যথার্থ্য অনায়াসে উপলব্ধি হইবে। তাহার পর রসেলাসের ভাষা। এমন বৈশিষ্ট্য-ভরা ভাষা এখনকার দিনেও অতিবিরল বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না। যে অংশ উদ্ধৃত হইয়াছে তাহা পুনরায় পঠিত হইলেই, আমি আশা করি, আমার কথা সম্যক বুঝিতে পারা যাইবে। ইহার ভাষার বৈশিষ্ট্য ভাল করিয়া বুঝিতে হইলে এবং বুঝাইতে গেলে আর একটি স্বতন্ত্র প্রবন্ধ লেখা দরকার। ইচ্ছ। আছে, তারাশঙ্করের ভাষা-সম্বন্ধে অন্যত্র বিস্তারিতভাবে আলোচনা করিব। আজ এইটুকু মাত্র বলিয়া রাথি যে, "বঙ্গভাষার উপর তারাশঙ্করের অসাধারণ দক্ষত ছিল ; তিনি ভাষাকে এতটা আয়ত্ত করিয়াছিলেন, ভাষার উপর তাহার এতদূর দখল ছিল যে, যখন যে বিষয়ের আলোচনা করিতেন, তখন সেই বিষয়ের গুরুত্ব-ও লঘুত্ব হিসাবে তিনি ভাষাকে ইচ্ছামত প্রয়োগ করিতে— পরিচালনা করিতে পারিতেন, আর এইরূপ পাকা মুনীয়ানার জন্তই না বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ বঙ্গসাহিত্য-গগনের সূর্য্যচন্দ্র !! পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, বিদ্যাসাগর ও তারাশঙ্কর সমসামরিক ব্যক্তি। যে সময়ে তারাশঙ্করের অমূল্য গ্রন্থদ্বয় প্রকাশিত হয়, তখন বিদ্যাসাগর বাঙ্গালার অদ্বিতীয় মহামানব। সমাজে, সাহিত্যে, রাষ্ট্রে র্তাহার জয়গীতি শতমুখে—সহস্ৰকণ্ঠে বিঘোষিত হইতেছিল। একজন ব্রাহ্মণপণ্ডিতের কথায় তখন বড়লাট পৰ্য্যন্ত উঠেন, বসেন—হিন্দু ধৰ্ম্ম-নির্দেশক আইন পাস করেন। এ বড় সহজ কাও নয়। আর তারাশঙ্কর সংস্কৃত