পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫెషా किiप्तश्लङ्गौ । দিনমণি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের স্তায় প্রচণ্ড অংশুসমূহ নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। রৌদ্রের উত্তাপে পথ উত্তপ্ত হইল। পথে পাদক্ষেপ করা কাহার সাধ্য ? সেই উত্তপ্ত বালুকায় আমার পা দগ্ধ হইতে লাগিল। কোন প্রকারে মরিবার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু সে সময়ে এরূপ কষ্ট ও যাতনা উপস্থিত হইল যে, বিধাতার নিকট বারম্বার মরণের প্রার্থনা করিতে হইল। চতুৰ্দ্ধিক অন্ধকার দেখিতে লাগিলাম। পিপাসায় কণ্ঠ শুষ্ক ও অঙ্গ অবশ হইল। ১৫ সেই স্থানের অনতিদূরে জাবালি নামে পরম পবিত্র মহাতপ মহৰ্ষি বাস করিতেন। তাহার পুত্র হারাত কতিপয় বয়স্ত সমভিব্যাহারে সেই দিক দিয়া সরোবরে স্নান করিতে যাইতেছিলেন। তিনি এরূপ তেজস্বী যে, হঠাৎ দেখিলে সাক্ষাৎ সূর্য্যদেবের ন্যায় বোধ হয়। তাহার মস্তকে জটাভার, ললাটে ভস্মৃত্রিপুণ্ডক, কর্ণে স্ফটিকমালা, বাম করে কমণ্ডলু, দক্ষিণ হস্তে আষাঢ়দণ্ড, স্কন্ধে কৃষ্ণাজিন ও গলদেশে যজ্ঞোপবীত। র্তাহার প্রশান্ত আকুতি দেখিবামাত্র বোধ হইল যেন, পরমকারুণিক ভূতভাবন ভগবান ভবানীপতি আমার রক্ষার নিমিত্ত ভূতলে অবতীর্ণ হইলেন। সাধুদিগের চিত্ত স্বভাবতই দয়ার্ড। আমার সেইরূপ দুৰ্দ্দশা ও যন্ত্রণা দেখিয়া তাছার অন্তঃকরণে করুণোদয় হইল, এবং আমাকে নির্দেশ করিয়া বয়স্তদিগকে কহিলেন দেখ দেখ ! একটি শুকশিশু পথে পতিত রহিয়াছে। বোধ হয় এই শান্মলী তরুর শিখরদেশ হইতে পতিত হইয়া থাকিবে। ঘন ঘন নিশ্বাস বহিতেছে ও বারম্বর চঞ্চুপুট ব্যাদান করিতেছে ; বোধ হয় অতিশয় তৃষ্ণাতুর হইয়া থাকিবে। জল ন পাইলে আর অধিক ক্ষণ বাচিবে না। চল, আমরা ইহাকে সরোবরে লইয়া যাই। জল পান করাইয়া দিলে