পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী । ২১ হুইয়া রাণী বহুদিবসাবধি শোকাকুল ছিলেন। কিন্তু মহারাজের মনঃপীড়া হইবে বলিয়া এত দিন দুঃখ প্রকাশ করেন নাই ; মনের দুঃখ মনেই গোপন করিয়া রাখিয়াছিলেন। অদ্য চতুর্দশী, মহাদেবের পূজা দিতে মহাকালের মন্দিরে গিয়াছিলেন, তথায় মহাভারত পাঠ হুইতেছিল, তাহতেই শুনিলেন সন্তানবিহীন ব্যক্তিদিগের সদগতি হয় না ; পুত্র না জন্মিলে পুল্লাম নরক হইতে উদ্ধারের উপায়ান্তর নাই ; পুত্রহীন ব্যক্তির ইহলোকে মুখ ও পরলোকে পরিত্রাণ পাইবার সম্ভাবনা নাই ; তাহার জীবন, ধন, ঐশ্বৰ্য্য, সকলই নিষ্ফল। মহাভারতের এই কথা শুনিয়া অবধি অতিশয় উন্মন ও উৎকষ্ঠিতা হইলেন। বাটী আসিলে সকলে নানাপ্রকার প্রবোধবাক্যে সাস্তুনা করিল ও আহার করিতে অনুরোধ করিল ; কোন ক্রমেই শাস্ত হইলেন না ও আহার করিলেন না । সেই অবধি কাহারও কোন কথার উত্তর দেন না, কাহারও সহিত আলাপ করেন না । কেবল বিষঃবদনে অনবরত রোদন করিতেছেন। এক্ষণে যাহা কৰ্ত্তব্য করুন। ৩ তাম্বলকরষ্কবাহিনীর কথা শুনিয়ী রাজা ক্ষণকাল নিস্তব্ধ ও নিরুত্তর হইয়া রহিলেন। পরে দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কছিলেন দেবি । দৈবায়ত্ত বিষয়ে শোক ও অনুতাপ করা কোন ক্রমেই বিধেয় নহে। মঙ্গুষ্যেরা যত যত্ন ও যত চেষ্টা করুক না কেন, দৈব অমুকুল ন হইলে কোন প্রকারে মনোরথ সফল হয় না। পুত্রের আলিঙ্গনে শরীর শীতল হইবে, মুখারবিন্দদর্শনে নেত্র পবিত্র হইবে, অপরিস্ফুট মধুর বচন শ্রবণে কৰ্ণ জুড়াইবে, এমন কি পুণ্য কৰ্ম্ম করিয়াছি । জন্মান্তরে কত পাপ করিয়া থাকিব, সেই জন্তে এত মনস্তাপ উপস্থিত হইতেছে। দৈব অমুকুল না হইলে কোন অভীষ্ট