পাতা:কাফ্রি দাসের বৃত্তান্ত - লী রিচমণ্ড.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করি। আমি নীচ কাফ্রী হইলেও খ্রীষ্ট আমাকে প্রেম করেন, ইহা চিন্তা করিয়া কখন২ আমার চক্ষুর জল পড়ে।”

 তুমি ধর্ম্মপুস্তক পাঠ ও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিলে এবং তাঁহার ধ্যান করিলে লােকেরা তোমাকে কি বলে?

 “কোন২ দুষ্ট লোক যীশু খ্রীষ্টকে প্রেম না করিয়া আমাকে পাগল ও কাফ্রি কুকুর, ও কালো পাষণ্ড বলে, তাহাতে কখন২ আমার রাগ জন্মে। কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের অনেক দুর্নাম হইলেও তিনি মেষশাবকের ন্যায় নীরব হইয়া থাকিলেন, তন্নিমিত্তে কোন খ্রীষ্টীয়ান ব্যক্তির রাগ করা উচিত নয়, ইহা মনে করিয়া আমি তাহাদিগকে কিছু কথা বলি না।”

 যুব কাফ্রির এমত নিষ্কপট ও সরল স্বভাব দেখিয়া আমি অতিশয় সন্তুষ্ট হইলাম। এবং খ্রীষ্টীয় ধর্ম্মের মূল বিষয়ে তাহার কি রূপ জ্ঞান ও বোধ আছে, ইহা জ্ঞাত হইবার জন্যে ১ করিন্থীয়দের প্রতি ১ পত্রের ১৩ অধ্যায়ের ১৩ পদে পৌল প্রেরিতের লিখিত ধর্ম্মসার যথা “এখন প্রত্যয় ও প্রত্যাশা ও প্রেম এই তিন আছে, কিন্তু ইহাদের মধ্যে প্রেমই শ্রেষ্ঠ,” ইহা স্মরণ করিয়া আমি কাফ্রিকে জিজ্ঞাসা করিলাম; প্রত্যয় কাহাকে বলে? ও তোমারই প্রত্যয় কি? অর্থাৎ খ্রীষ্টের ও তোমার আত্মার বিষযে তুমি কি প্রত্যয় করিতেছ?

 সে কহিল, “প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পাপিদের পরিত্রাণার্থে এই জগতে অবতীর্ণ হইলেন। অতএব আমি দরিদ্র ও কাল কাফ্রী ও বড় পাপী হইলেও তিনি আমাকে ত্রাণ করিবেন, এই আমার প্রত্যয়।”

 তোমার প্রত্যাশা কি? অর্থাৎ ঐহিক ও পারত্রিকের বিষয়ে তোমার কি ভরসা আছে?

 “আমি যাবৎ এই জগতে বাস করিব, তাবৎ প্রভ যীশু