পাতা:কাফ্রি দাসের বৃত্তান্ত - লী রিচমণ্ড.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১

 যে স্থানে আমি অশ্বারূঢ় হইয়া ভ্রমণ করিতেছিলাম, সে স্থানের নৈর্ঋত কোণে প্রায় পাঁচ ক্রোশ পরিধি পরিমিত এক সুন্দর অর্দ্ধ গোলাকৃতি খাল দৃষ্ট হইল, ঐ খাল শুক্ল ও রক্ত ও ধূম্রবর্ণ মৃত্তিকার উচ্চ পাহাড়ে বেষ্টিত। তাহার ওপারে কতক গুলি উপপর্ব্বত শ্রেণীবদ্ধ ছিল। তাহার শৃঙ্গ সকল অনেকবার মেঘাচ্ছন্ন হইত, কিন্তু সেই সময়ে অতি স্পষ্ট দেখা গেল। এই পর্ব্বতশ্রেণী উত্তর দিগে অন্য শ্রেণীতে যোগ পাইয়া বৃহৎ ও ফলবতী নিম্নভূমির সীমাস্বরূপ হইল। তৎকালে ভূমির শস্য সকল ছেদনোপযুক্ত ছিল, তাহাতে পরমেশ্বর যে আপন কৃপাদ্বারা মনুষ্যসন্তানদের নিমিত্তে প্রচুর আহার প্রস্তুত করেন, ইহা প্রকাশ হইল। “তিনি শস্য প্রস্তুত করেন; তিনি বৎসরকে কল্যাণরূপ মুকুট দিতেছেন, এবং তাঁহার পথহইতে স্নিগ্ধতা নিঃসৃত হইয়া অরণ্যে ও প্রান্তরে পতিত হইলে চতুর্দ্দিগে পর্ব্বতগণ উল্লাসিত হয়, এবং ক্ষেত্র সকল মেষেতে ব্যাপ্ত ও নিম্নভূমি শস্যে আচ্ছন্ন হয়, তাহাতে সকলে জয়ধ্বনি করিয়া গান করে।” ৬৫ গীত।

 আমার সম্মুখগামি জাহাজের প্রতি দৃষ্টি করত দায়ূদের এই কথাও আমার মনে পড়িল, যথা “সমুদ্রের মধ্যে জাহাজে গমনাগমনকারি ও জলসমূহের মধ্যে ব্যবসায়কারি লোকেরা গভীর জলে পরমেশ্বরের কর্ম্ম ও আশ্চর্য্যক্রিয়া দেখিতে পায়। তিনি আজ্ঞা দিলে প্রচণ্ড বায়ু উঠে ও তরঙ্গ উঠায়। তাহাতে তাহারা কখন আকাশে উঠে ত কখন গভীর জলে নামে। এই বিপদে তাহাদের প্রাণ গলিত হয়। তাহারা মত্ত মনুষ্যের ন্যায় হেলিয়া দুলিয়া চলিয়া পড়ে ও হতবুদ্ধি হয়। এমত বিপদের সমযে তাহারা পরমেশ্বরের কাছে কাকৃুতি করিলে তিনি তাহাদিগকে কষ্টহইতে আনয়ন করেন, এবং ঝড়কে নির্ব্বাত করিয়া তরঙ্গের