পাতা:কাব্যগ্রন্থ (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কতু শালিকের ডাক, কখনো মৰ্ম্মর জীর্ণ অশথের, কভু দূর শূন্তপরে চীলের সুতীব্রধ্বনি, কভু বায়ুভরে আৰ্ত্তশব্দ বাধা তরণীর,—মধ্যান্সের অব্যক্ত করুণ একতান, অরণ্যের স্নিগ্ধচ্ছায়া, গ্রামের সুষুপ্ত শান্তিরাশি, মাঝখানে বসে’ আছি আমি পরবাসী । প্রবাস-বিরহ দুঃখ মনে নাহি বাজে ;— আমি মিলে গেছি যেন সকলের মাঝে ; ফিরিয়া এসেছি যেন আদি জন্মস্থলে বহুকাল পরে,—ধরণীর বক্ষতলে পশু পাখী পতঙ্গম সকলের সাথে ফিরে গেছি যেন কোন নবীন প্রভাতে পূৰ্ব্বজন্মে,—জীবনের প্রথম উল্লাসে অাকড়িয়া ছিনু যবে আকাশে বাতাসে জলে স্থলে—মাতৃস্তনে শিশুর মতন— আদিম আনন্দরস করিয়া শোষণ । ১৫ই চৈত্র, ১৩০২ ৷ Ᏹ 8