পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের প্রতি জননী যেমন জানে জঠরের গোপন শিশুরে, প্রাণে যবে স্নেহ জাগে, স্তনে যবে দুগ্ধ উঠে পূরে । প্রাণভরা ভাষাহরা দিশাহারা সেই আশা নিয়ে চেয়ে আছি তোমা পানে ; তুমি সিন্ধু প্রকাণ্ড হাসিয়ে টানিয়া নিতেছ যেন মহাবেগে কি নাড়ীর টানে আমার এ মৰ্ম্মখানি তোমার তরঙ্গমাঝখানে কোলের শিশুর মত । হে জলধি, বুঝিবে কি তুমি আমার মানব ভাষা ? জান কি তোমার ধরাভূমি পীড়ায় পীড়িত আজি ফিরিতেছে এপাশ ওপাশ, চক্ষে বহে অশ্রুধারা, ঘন ঘন বহে উষ্ণশ্বাস, নাহি জানি কি যে চায়, নাহি জানি কিসে ঘুচে তৃষা, আপনার মনোমাঝে আপনি সে হারায়েছে দিশা বিকারের মরীচিকা-জালে । অতল গম্ভীর তব অন্তর হইতে কহ সান্তুনার বাক্য অভিনব আষাঢ়ের জলদমন্দ্রের মত ; স্নিগ্ধ মাতৃপাণি চিন্তাতপ্ত ভালে তা”র তালে তালে বারম্বার হানি’ সর্বাঙ্গে সহস্রবার দিয়া তারে স্নেহময় চুমা, বল তারে, “শান্তি! শান্তি!” বল তারে, “যুমা, ঘুমা, ঘুমা ” ১৭ই চৈত্র, ১২৯৯ । b’6.