পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু পারে কি যে দেখেছিনু মনে নাহি পড়ে, ছিল নাকো আগাগোড়া,— লক্ষ্যবিহীন তীরের মতন ছুটিয়া চলেছে ঘোড়া । চরণে তাদের শব্দ বাজে না, উড়ে নাকো ধূলিরেখা, কঠিন ভূতল নাই যেন কোথা, সকলি বাম্পে লেখা । মাঝে মাঝে যেন চেনা-চেনা মত মনে হয় থেকে থেকে,— নিমেষ ফেলিতে দেখিতে না পাই কোথা পথ যায় বেঁকে । মনে হ’ল মেঘ, মনে হ’ল পাখী, মনে হ’ল কিশলয়, ভালো করে যেই দেখিবারে যাই মনে হ’ল কিছু নয়। দুই ধারে এ কি প্রাসাদের সারি ? অথবা তরুর মূল ? অথবা এ শুধু আকাশ জুড়িয়া আমারি মনের ভুল ? মাঝে মাঝে চেয়ে দেখি রমণীর অবগুষ্ঠিত মুখে,— নীরব নিদয় বসিয়া রয়েছে, প্রাণ কেঁপে ওঠে বুকে । ভয়ে ভুলে যাই দেবতার নাম, মুখে কথা নাহি ফুটে ; হুহু রবে বায়ু বাজে দুই কানে ঘোড়া চলে যায় ছুটে । চন্দ্র যখন অস্তে নামিল তখনো রয়েছে রাতি, পূর্বদিকের অলস নয়নে মেলিছে রক্ত ভাতি । জনহীন এক সিন্ধুপুলিনে অশ্ব থামিল আসি,— সমুখে দাড়ায়ে কৃষ্ণ শৈল গুহামুখ পরকাশি । সাগরে না শুনি জলকলরব না গাহে উষার পার্থী, বহিল না মৃদু প্রভাতপবন বনের গন্ধ মাখি । ৩৬৯ 3–24