পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী তখন যেতেছে অস্তে মলিন তপন । আকাশ সোনার বর্ণ, সমুদ্র গলিত স্বর্ণ, পশ্চিম দিশ্বধু দেখে সোনার স্বপন । সন্ন্যাসী আবার ধীরে পূর্বপথে যায় ফিরে খুজিতে নূতন করে হারানে রতন। সে শকতি নাহি আর লুয়ে পড়ে দেহভার অন্তর লুটায় ছিন্ন তরুর মতন। পুরাতন দীর্ঘপথ পড়ে আছে মৃতবৎ হেথা হ’তে কতদূর নাহি তা’র শেষ। দিক্ হতে দিগন্তরে মরুবালি ধুধু করে, আসন্ন রজনী-ছায়ে স্নান সর্ববদেশ । অৰ্দ্ধেক জীবন খুজি’ কোন ক্ষণে চক্ষু বুজি স্পর্শ লভেছিল যার এক পলভর, বাকি অৰ্দ্ধ ভগ্ন প্রাণ আবার করিছে দান ফিরিয়া খুজিতে সেই পরশ-পাথর। ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১২৯৯