পাতা:কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবন-স্বপ্ন আমার যৌবন-স্বপ্নে যেন ছেয়ে আছে বিশ্বের আকাশ। ফুলগুলি গায়ে এসে পড়ে রূপসীর পরশের মত। পরাণে পুলক বিকাশিয়া বহে কেন দক্ষিণ বাতাস যেথা ছিল যত বিরহিণী সকলের কুড়ায়ে নিশ্বাস । বসন্তের কুস্থম-কাননে গোলাপের আঁখি কেন নত ? জগতের যত লাজময়ী যেন মোর আঁখির সকাশ কঁাপিছে গোলাপ হয়ে এসে মরমের সরমে বিব্রত । প্রতি নিশি ঘুমাই যখন পাশে এসে বসে যেন কেহ সচকিত স্বপনের মত জাগরণে পলায় সলাজে ; যেন কার আঁচলের বায় উষায় পরশি যায় দেহ ; শত নূপুরের রুণুঝুনু বনে যেন গুঞ্জরিয়া বাজে ; মদির প্রাণের ব্যাকুলতা ফুটে ফুটে বকুল মুকুলে। কে আমারে করেছে পাগল—শূন্যে কেন চাই আঁখি তুলে, যেন কোন উৰ্ব্বশীর আঁখি চেয়ে আছে আকাশের মাঝে । N N R