পাতা:কাব্যগ্রন্থ (নবম খণ্ড).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন সঞ্জীব । আটান্ন প্রকার আচমন-বিধির মধ্যে পঞ্চক বড় জোর পাচটা প্রকরণ এতদিনে শিখেচে । পঞ্চক । সঞ্জীব, আমার মনে আঘাত দিয়ে না ! অতু্যক্তি করচ ! সঞ্জীব । অত্যুক্তি ! পঞ্চক। অত্যুক্তি নয় ত কি ! তুমি বলচ পাঁচটা শিখেচি ! আমি দুটোর বেশি একটাও শিখিনি । তৃতীয় প্রকরণে মধ্যমাঙ্গুলির কোন পর্ববট কতবার কতখানি জলে ডুবোতে হবে সেটা ঠিক করতে গিয়ে অন্য আঙুলের অস্তিত্বই ভুলে যাই কেবল একমাত্র বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠটা আমার খুব অভ্যাস হ’য়ে গেচে । হাস্চ কেন ? বিশ্বাস করচ না বুঝি ? জয়োত্তম । বিশ্বাস করা শক্ত । পঞ্চক । সেদিন উপাধ্যায় মশায় যখন পরীক্ষা করতে এলেন তখন তাকে ঐ বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ পর্য্যন্ত দেখিয়ে বিস্মিত করবার চেষ্টায় ছিলুম কিন্তু তিনি চোখ পাকিয়ে তর্জনী তুল্লেন, আমার আর এগল না । বিশ্বস্তুর । না, পঞ্চক, এবার গুরু আসার জন্যে তোমাকে প্রস্তুত হ’তে হবে । পঞ্চক। পঞ্চক পৃথিবীতে যেমন অপ্রস্তুত হ’য়ে জন্মেচে তেমনি অপ্রস্তুত হ’য়েই মরবে । ওর ঐ একটি মহদগুণ আছে, ওর কখনো বদল হয় না ! >(rb"