পাতা:কাব্যগ্রন্থ (নবম খণ্ড).pdf/৬৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী এখানে আকাশটা যেন যাবার বেলাকার বন্ধুর মত মুখের দিকে তাকিয়ে আছে । যারা সেখানে বলছিল চল চল, তারা এখানে বলচে যাই যাই । কথাটা একই, স্বরটা আলাদা । মনটার ভিতরে কেমন ব্যথা দিচ্চে, তবু লাগচে ভালো । ঝাউগাছের বীথিকার ভিতর দিয়ে কোথা থেকে এই একটা নদীর স্রোত চলে আস্চে এ যেন কোন দুপুররাতের চোখের জল । -I পৃথিবীর দিকে এমন করে কখনো আমরা দেখিনি। উদ্ধশ্বাসে যখন সামনে ছুটি তখন সামনের দিকেই চোখ থাকে, চারপাশের দিকে নয়। বিদায়ের বঁাশিতে যখন কোমল ধৈবত লাগে তখনি সকলের দিকে চোখ মেলি । আর দেখি বড় মধুর। যদি সবাই চলে চলে না যেত তাহ’লে কি কোনো মাধুরী চোখে পড়ত ? চলার মধ্যে যদি কেবলি তেজ থাকত তাহ’লে যৌবন শুকিয়ে যেত। তা’র মধ্যে কান্না আছে তাই যৌবনকে সবুজ দেখি । এই জায়গাটাতে এসে শুনতে পাচ্চি জগৎটা কেবল “পাব” “পাব” বলচে না—সঙ্গে সঙ্গেই বলচে, ছাড়ব, ছাড়ব । Ꮤ%ᎼᏜ