পাতা:কাব্যগ্রন্থ (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মালিনী

ওই দুটি নেত্রে জ্বলে যে উজ্জ্বল শিখা
সে আলােকে পড়িয়াছি বিশ্বশাস্ত্রে লিখা
যেথা দয়া সেথা ধর্ম্ম, যেথা প্রেমস্নেহ,
যেথায় মানব, যেথা মানবের গেহ।
বুঝিলাম, ধর্ম্ম দেয় স্নেহ মাতারূপে,
পুত্ররূপে স্নেহ লয় পুনঃ;—দাতারূপে
করে দান, দীনরূপে করে তা' গ্রহণ,—
শিষ্যরূপে করে ভক্তি, গুরুরূপে করে
আশীর্ব্বাদ; প্রিয় হ'য়ে পাষাণঅন্তরে
প্রেম-উৎস লয় টানি’, অনুরক্ত হ'য়ে
করে সর্ব্বসমর্পণ। ধর্ম্ম বিশ্বলােকালয়ে
ফেলিয়াছে চিত্তজাল,—নিখিল ভুবন
টানিতেছে প্রেমক্রোড়ে,—সে মহাবন্ধন
ভরেছে অন্তর মাের আনন্দবেদনে
চাহি ওই ঊষারুণ করুণ বদনে।
ওই ধর্ম্ম মোর।

ক্ষেমঙ্কর


   আমি কি দেখিনি ওরে?
আমিও কি ভাবি নাই মুহূর্ত্তের ঘােরে
এসেছে অনাদি ধর্ম্ম নারীমূর্ত্তি ধরে’
কঠিন পুরুষমন কেড়ে নিয়ে যেতে
স্বর্গপানে? ক্ষণতরে মুগ্ধ হৃদয়েতে

১২৭