পাতা:কাব্যগ্রন্থ (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশােধ

“হায় গাে বিদেশী পান্থ কৌতুক এ নহে।
আমার অঙ্গেতে যত স্বর্ণ অলঙ্কার
সমস্ত সঁপিয়া দিয়া শৃঙ্খল তােমার
নিতে পারি নিজ দেহে; তব অপমানে
মোর অন্তরাত্মা আজি অপমান মানে।”
এত বলি সিক্তপক্ষ্ম দুটি চক্ষু দিয়া
সমস্ত লাঞ্ছনা যেন লইল মুছিয়া
বিদেশীর অঙ্গ হ'তে। কহিল রক্ষীরে
“আমার যা আছে ল’য়ে নির্দ্দোষী বন্দীরে
মুক্ত করে' দিয়ে যাও।”—কহিল প্রহরী,
“তব অনুনয় আজি ঠেলিনু সুন্দরী
এত এ অসাধ্য কাজ। হৃত রাজকোষ,
বিনা কারাে প্রাণপাতে নৃপতির রােষ
শান্তি মানিবে না।” ধরি প্রহরীর হাত
কাতরে কহিল শ্যামা,—“শুধু দুটি রাত
বন্দীরে বাঁচায়ে রেখাে এ মিনতি করি!”
“রাখিব তােমার কথা,”—কহিল প্রহরী।
দ্বিতীয় রাত্রির শেষে খুলি বন্দীশালা
রমণী পশিল কক্ষে, হাতে দীপ জ্বালা',
লােহার শৃঙ্খলে বাঁধা যেথা বজ্রসেন—
মৃত্যুর প্রভাত চেয়ে মৌনী জপিছেন
ইষ্টনাম। রমণীর কটাক্ষ-ইঙ্গিতে

৩৪৯