এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথা ও কাহিনী
রাজেন্দ্র প্রসেনজিত উচ্চারি মঙ্গলগীত
চলেছেন বুদ্ধ দরশনে-
হেরি অকালের ফুল- শুধালেন, কত মূল?
কিনি দিব প্রভুর চরণে।
মালী কহে, হে রাজন স্বর্ণ মাষা দিয়ে পণ
কিনিছেন এই মহাশয়।
দশ মাষা দিব আমি- কহিলা ধরণীস্বামী,
বিশ মাষা দিব—পান্থ কয়।
দোঁহে কহে, দেহ দেহ, হার নাহি মানে কেহ,
মূল্য বেড়ে ওঠে ক্রমাগত।
মালী ভাবে যার তরে এ দোঁহে বিবাদ করে
তাঁরে দিলে আরো পাব কত?
কহিল সে করজোড়ে দয়া করে' ক্ষম মােরে-
এ ফুল বেচিতে নাহি মন।
এত বলি ছুটিল সে যেথা রয়েছেন বসে'
বুদ্ধদেব উজলি কানন।
বসেছেন পদ্মাসনে প্রসন্ন প্রশান্তমনে,
নিরঞ্জন আনন্দ মূরতি।
দৃষ্টি হ’তে শান্তি ঝরে স্ফুরিছে অধরপরে
করুণার সুধাহাস্যজ্যোতি।
সুদাস রহিল চাহি,— নয়নে নিমেষ নাহি,
মুখে তা'র বাক্য নাহি সরে।
৩৭৪