এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হোরিখেলা
দাসীর হাতে দিয়ে ফাগের থালা
রাণী বনে এলেন হেনকালে।
তান ধরিয়া ইমন্ ভূপালিতে
বাঁশি তখন বাজচে দ্রুত তালে
কেসর কহে—তোমারি পথ চেয়ে
দুটি চক্ষু করেছি প্রায় কানা।—
রাণী কহে—আমারো সেই দশা!—
একশো সখী হাসিয়া বিবশা,—
পাঠানপতির ললাটে সহসা
মারেন রাণী কাঁসার থালাখানা।
রক্তধারা গড়িয়ে পড়ে বেগে
পাঠানপতির চক্ষু হ’ল কানা।
বিনা মেঘে বজ্ররবের মত
উঠল বেজে কাড়া-নাকাড়া।
জ্যোৎস্নাকাশে চম্কে ওঠে শশী,
ঝন্ঝনিয়ে ঝিকিয়ে ওঠে অসি,
সানাই তখন দ্বারের কাছে বসি
গভীর সুরে ধর্ল কানাড়া।
কুঞ্জবনের তরু তলে তলে
উঠল বেজে কাড়া-নাকাড়া।
৪১৫