পাতা:কালবৈশাখী - মণীন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালবৈশাখী বিজন আশা-নিরাশার মধ্যে আর আমি থাকতে পারি না কমল । মুখ ফুটে এতদিন য’ বোলতে সাহস করি নি, আজ সেই কথাই বোলবো । কমল চোখের ভাষা কি মুখের ভাষার চেয়ে কম অর্থহীন ? আপনার অন্তরেব ব্যাকুলত সমস্তই চোখের ভাষায় প্রতিভাত হোতে দেখেছি আব অন্তরে আমার পুলকের লহর বয়ে গেছে। বিজন কিন্তু তোমার উদাস চাহনিতে আমি কিছুই বুঝতে পারি না। আমি বড় সন্দিহান ; মন আমার বড় ভঙ্গুর। আজ কেব বিশ্বাস আমার, কালকের অবিশ্বাসে পরিণত হয়। তাই কতদিন কৌশলে জানতে চেয়েছি তোমার মুখের একটা কথা, কিন্তু আজো তা’র ষণার্থ উত্তৰ পাই নি । ( খানিক থামিয়া ) মনে পড়ে আমাদের প্রথম পরিচয়ের কথা ? কমল হা, যেদিন আমি পথ হারাই। পথের সন্ধানে ব্যর্থ চেষ্টার পর আকুল অস্তরে চোখ বুজে দেবতার চরণে নিবেদন জানালাম, চোখ খুলে প্রথম দেখলাম আপনাকে, অপলক নয়নে চেয়ে রইলাম ঐ মুখের দিকে । কোথায় গেলে আমার আজীবন সংস্কার, আর কোথায় গেলে আমার নারীসুলভ লজ্জা ? অন্তরের তান্তরতম প্রদেশ হোতে কে যেন বোলে উঠলো, “ওরে, যে দেবতার চরণে নিবেদন জানিয়েছিস সে যে তো’র চোখের সামনে—”