পাতা:কালের যাত্রা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అశి কালের যাত্রা ২ সৈনিক কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড ? ১ নাগরিক তারই কাছাকাছি। সেই-যে শূদ্র তপস্যা করতে গিয়েছিল, মহাকাল তাতেই তো সেদিন ক্ষেপে উঠেছিলেন । তার পর রামচন্দ্র শূদ্রের মাথা কেটে তবে বাবাকে শাস্ত করেছিলেন। ৩ সৈনিক আজ তো সে ভয় নেই, আজ ব্রাহ্মণই তপস্যা ছেড়ে দিয়েছে, শূদ্রের তো কথাই নেই। ১ নাগরিক এখনকার শূদ্রের কেউ কেউ লুকিয়ে লুকিয়ে শাস্ত্র পড়তে আরম্ভ করেছে। ধরা পড়লে বলে, আমরা কি মানুষ নই। স্বয়ং কলিযুগ শূদ্রের কানে মন্ত্র দিতে বসেছে যে তারা মানুষ । রথ যে চলে না তাতে মহাকালের দোষ কী— না চললেই ভালো। যদি চলতে শুরু করে তা হলে চন্দ্রসূর্য গুড়িয়ে ফেলবে। শূদ্র চোখ রাঙিয়ে বলে কিনা আমরা কি মানুষ নই । কালে কালে কতই শুনব । ১ সৈনিক আজ শূদ্র পড়ছে শাস্ত্র, কাল ব্রাহ্মণ ধরবে লাঙল । সর্বনাশ । ২ সৈনিক d তা হলে চল, ওদের পাড়ায় গিয়ে একবার কষে হাত চালানো যাক । ওরা মানুষ না আমরা মানুষ, প্রত্যক্ষ দেখিয়ে দিই।