এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
কার্ত্তিকের ধ্যান-- কার্ত্তিকেয়ং মহাভাগং ময়ূরোপরি সংস্থিতং।
বুঝিয়া দুর্য্যোধন এ কর্ম্ম তোমার। বদ্ধ করি রাখ গৃহে কৃষ্ণের কুমার।। যে হইল দোষ ক্ষমিলাম সে তোমারে। পুত্রবধূ আনি দেহ আমার গোচরে।। এত শুনি দুর্য্যোধন দুতের বচন। ক্রোধে থরথর অঙ্গ করয়ে গর্জ্জন।। যে বাক্য বলিলে তুমি গুরু বলি মানি। অন্য হৈলে সেই জন দেখিত এখনি।। পাঠাইলা পুত্ত্রে হেথা চুরি কর গিয়া। এবে বলে পুত্রবধূ তার দিবে পাঠাইয়া। লজ্জা নাহি তেঁই হেন পাঠায় কহিয়া।। যাও দূত কহ গিয়া এ বাক্য আমার। ভালে ভালে নিজ গৃহে যাও আপনার।। দূত গিয়া কহিল সকল বিবরণ। শুনি ক্রোধে হলধর কম্পিত নয়ন।। ক্রোধে হলী মূষল নিলেন তুলে হাতে। লাফ দিয়া রথ হৈতে পড়েন ভূমিতে।। ক্রোধে থরথর অঙ্গ পদ নাহি চলে। ধরণীতে লাঙ্গল দিলেন সেই স্থলে।। রাজা প্রজা পাত্রমিত্র সহিত সকলে। নগর সহিত যেন পড়ে গঙ্গাজলে।। হস্তিনানগর পঞ্চ যোজন বিস্তার। রামের লাঙ্গলে উঠে হইয়া বিদার।। দেখি হাহাকার শব্দ হইল নগরে। উর্দ্ধশ্বাসে ধায় সবে রামের গোচরে।। ভীষ্ম দ্রোণ কৃপ আর বিদুর সংহতি। শত ভাই দুর্য্যোধন পাণ্ডব প্রভৃতি।। করযোড়ে করুণ বচনে করে স্তুতি। রক্ষা কর বলদেব রেবতীর পতি।। তুমি ব্রম্ভা তুমি বিষ্ণু তুমি মহেশ্বর। অনাদি অনন্ত তুমি ব্যপ্ত চরাচর।। তুমি ক্রোধী হইলে ভস্ম হৈবে সংসার। তোমার ক্রোধেতে এ হস্তিনা কোন ছার।। যুবা বৃদ্ধ শিশু গো ব্রাম্ভণ নারায়ণ। বিশেষ তোমার বধূ আছয়ে লক্ষণ।। ক্ষমা কর কৃপাময় পড়ি যে চরণে। এইবার রাখ প্রভু দয়া করি মনে।। এতেক সবার স্তুতি শুনি বলরাম। রাখিলেন লাঙ্গল হইল ক্রোধ শাম।। ততক্ষণ দুর্য্যোধন শাম্বেরে লইয়া। নানা অলঙ্কার অঙ্গে ভূষণ করিয়া।। লক্ষণার সহিত লইয়া দোঁহা রথে। বিবিধ যৌতুক দিল শাম্বের অগ্রেতে।। দেখিয়া সানন্দ হৈয়া রেবতীরমণ। পুত্রবধূ লয়ে শীঘ্র করেন গমন।। মহাভারতের কথা অমৃত সমান। কাশীদাস কহে সাধু সদা করে পান।। ----
সুভদ্রার বিবাহ কারণ সত্যভামার মহাচিন্তা ও হস্তিনায় দূত প্রেরণ। মুনি বলে অবধান করহ নৃপতি। রামবাক্য শুনি দোঁহে হৈল দুঃখমতি।। অধোমুখে বসিলেন দৈবকী রোহিণী। সতী বলিলেন সর্ব্বনাশ ঠাকুরাণী।। না দিলে মরিবে পার্থ মারিবেক ক্রোধে। আর কত করিবেক তা সহ বিরোধে।। মরিবে অনেক লোক সুভদ্রা কারণ। এক্ষণে না হয় কেন সুভদ্রা মরণ।। গরল খাউক কিম্বা প্রবেশুক জলে। সকল অনিষ্ট খণ্ডে সুভদ্রা মরিলে।। আমি তার সহ করি জলেতে প্রবেশ। সংসারেতে লোকলজ্জা স্ত্রীবধ বিশেষ।। এতেক ভাবিয়া দেবী আকুল পরাণ। পুনঃ উঠি যান দেবী গোবিন্দের স্থান।। দৈবকী রোহিণী দেবী কহিলেন যত। গোবিন্দে করান দেবী তাহা অবগত।। গোবিন্দ বলেন প্রিয়ে ভয় কি তোমার। উপায় করিব ইথে সে ভার আমার।। দূত পাঠাইয়া আন তুমি ধনঞ্জয়। সতী বলে আমি যাই দূত কর্ম্ম নয়।।