পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89e মুক্তায়ৈরাভরণৈঃ রুপেতং রথাঙ্গ । [मशखांब्रड | তথায় হইল চক্ষু অন্ধ নৃপতির। T - সত্যবানের পুনৰ্জ্জীবন লাভ । পুত্রের বিলম্ব দেখি হইল অস্থির। নিজ পতি পেয়ে সতী হরষিত মতি শোকাকুল অনেক কান্দয়ে রাজরাণী । স্বামীর নিকটে গেল পুনঃ শীঘ্ৰগতি ॥ কোথায় রহিল পুত্র এ ঘোর রজনী ॥ মহানন্দে ল’য়ে সেই অঙ্গুষ্ঠ পুরুষে। তিন দিন উপবাসী বধু গেল সাথে । স্বামী অঙ্গে নিয়োজিল পরম হরিষে ॥ না জানি কেমন কষ্ট হইল বা পথে ॥ চেতন পাইয় উঠে রাজার নন্দন । নিদ্ৰা হ’তে যেমন হইল জাগরণ ॥ হেনকালে শুন যুধিষ্ঠির নৃপমণি । অস্ত গেল দিবাকর আইল রজনী ॥ দেখি সত্যবান অতি চিন্তাকুল মনে । কহিতে লাগিল সাবিত্রী সম্বোধনে ॥ কহ প্রিয়ে হইল দুরন্ত ঘোর নিশি । কিমতে পাইব রক্ষণ অরণ্যেতে বসি ॥ চিনিতে না পুরি পথ অন্ধকার ঘোর । কেন প্রিয়ে না করিলে নিদ্রাভঙ্গ মোর ॥ হায় বিধি কালনিদ্র মোরে আনি দিলে । কান্দিবেক জনক জননী শোকাকুলে ॥ সাবিত্ৰী কহিল প্রভু শুন মম কথা । হইল যে কৰ্ম্ম তাহা চিন্তা কর বৃথা ॥ নিদ্র ভঙ্গ করিলে অধৰ্ম্ম বড় হয়। সেই জন্য জাগাইতে মনে হৈল ভয় ॥ মনে মনে অবশ্য আছয়ে কিছু বেলা । সে কারণে প্ৰভু রৈমু মনে করি হেলা ॥ মেঘেতে আচ্ছন্ন বেলা নারিনু বুঝিতে । মম দোষ নাহি কিছু না ভাবিও চিতে ॥ অন্ধকারে গৃহে যেতে কর মনোরথ । রাত্রিকালে বনস্থলে না জানিবে পথ ॥ চল প্রভু এই বৃক্ষে আরোহণ করি । কোন মতে বঞ্চি প্রভু এ ঘোর শর্বরী ॥ প্রভাতে উঠিয়া কালি করিব গমন । যে আজ্ঞ৷ তোমার এই মম নিবেদন ॥ সত্যবান বলে প্রিয়ে উত্তম কহিলে । ইহ না করিলে কোথ। যাব রাত্রিকালে ॥ ইহা বলি উঠে দোহে বৃক্ষের উপরে । চিন্তায় আকুল রহে দুঃখিত অস্তরে ॥ এতকালে স্বামী যদি পায় চক্ষুদান । হারাইল রত্ননিধি পুত্র সত্যবান ॥ হায় বধু সাবিত্রী, কুমার সত্যবান। তোমা দোহা না দেখিয়া ফাটে মম প্রাণ। ঘোর বনে বনজন্তু শত শত ছিল । অভাগীর কৰ্ম্মদোষে বুঝি বা হিংসিল ॥ নাম ধরি কন্দিয়া উঠিল দুইজনে । কারণ জানিতে গেল মুনিগণ স্থানে ॥ একে একে কহিল যতেক মুনিগণ । কি হেতু তোমরা এত করিছ ক্ৰন্দন ॥ আশ্বাস করিয়া কয় না করিবে ভয় । সুখের লক্ষণ রাজা জানিও নিশ্চয় ॥ আমা সবাকার বাক্য কভু নহে আন । ! রাত্রিশেষে আসিবে সাবিত্ৰী সত্যবান ॥ সান্থনা করিয়া দোহে পাঠাইল ঘর। চিন্তাকুল রছিলেন দুঃখিত অন্তর্d কতেক কষ্টেতে বঞ্চিলেন সেই মিশি। হেনকালে অরুণ উদয় পূর্বদিশি ॥ প্রভাত জানিয়া তবে রাজার নন্দন । ফলমূল কাষ্ঠ ল’য়ে করিল গমন ॥ হেথা রাজা রাণী করে পথ নিরীক্ষণ । হেনকালে নিকটে আইল দুইজন ॥ তিতিল দোহার অঙ্গ প্রেম-অশ্ৰুজলে। সেইমত আনন্দ হইল বনস্থলে ॥ আশ্রমে আইল দোহে প্রফুল্লবদনে । সত্যবান সাবিত্রী আইল নিকেতনে । শুনিয়া আসিল যত ছিল মুনিগণ । বিস্ময় জানিয়া সবে জিজ্ঞাসে কারণ ॥ সবাকারে সাবিত্ৰী কহিল বিবরণ । আদ্য জম্ভ ষত সব বনের কখন ॥