পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সভাপৰ্ব্ব । ] প্লভূতে আত্মারূপে আছে যেই জন ॥ কাশ পৃথিবী তেজ সলিল মরুত - সারে যতেক সব কৃষ্ণে প্রতিষ্ঠিত ॥ রবৃদ্ধি শিশুপাল কিছু নাহি জানে। মঃপূজা নিন্দ করে তথির কারণে ॥ তেক বলিল যদি গঙ্গর নন্দন । হদেব বলিতে লাগিল ততক্ষণ ॥ প্রমেয় পরাক্রম যেই নারায়ণ । হল প্রভু পূজিবারে নিন্দে যেই জন ॥ চােহর মস্তকে আমি বামপদ দিয়া । এ সভার মধ্যে তেঁই বলিব ডাকিয় ॥ iাজচৰ্য্যা বুদ্ধি বলে অধিক কে আছে । কৃষ্ণ হৈতে এ সবার মধ্যে আগে পাছে ॥ এতেক বলিল যদি মাদ্রীর নন্দন । র ত দিলে যেমন জ্বলিল হুতাশন ॥ শিশুপাল আদি করি যত নৃপগণ । ক্রোধভরে গর্জিয়া উঠিল ততক্ষণ ॥ কজ্ঞ নাশ কর আর মারহ পাণ্ডব । রঞ্চিবংশ মার অণর মারহ মাধব ॥ এত বলি রাজগণ মহা কোলাহলে । প্ৰলয় সময়ে যেন সমুদ্র উথলে ॥ রাজগণ আড়ম্বর হেগি ধৰ্ম্মরায় । ভাস্কোরে বলেন কহ ইহার উপায় ॥ ঈহার বিধান আজ্ঞা কর মহাশয় । রাজগণ রক্ষা পায় যজ্ঞপূর্ণ হয় ॥ ভীষ্ম বলিলেন রাজা না করিও ভয় । প্রথমে করেছি আমি ইহার উপায় ॥ গোবিন্দের আরাধন করে যেইজনে । তাহার কাহারে ভয় এ তিন ভুবনে ॥ এই সব ক্রুদ্ধ যত দেখহ রাজন। ইথে সিংহ প্রায় দেখি দৈবকীনন্দন ॥ যতক্ষণ সিংহ নিদ্রা হইতে না উঠে । গৰ্জয়ে শৃগালগণ তাকার নিকটে ॥ যতক্ষণ গোবিন্দ না করে অবধান । ততক্ষণ গর্জিবেক এ সব অজ্ঞান ॥ রক্তবস্ত্র পরীখানাং বালার্কসদৃশীতনু । | | ર૭૭ শিশুপালের বুদ্ধিতে গর্জে যত জন । তাহারা যাইবে শীঘ্ৰ যমের সদন ॥ অগ্নি দেখি পতঙ্গ বিক্রম যত করে । ক্ষণমাত্রে ভস্ম হয় পরশি অগ্নিরে ॥ উৎপত্তি প্রলয় স্থিতি যাহার স্বভাব । মূঢ় শিশুপাল কিছু না জানে সে ভাব ॥ ভীষ্মের বচন শুনি দামোঘোষমৃত্ত । কটবাক্যে নিন্দা করি বলিল বহুত ॥ বৃদ্ধ বলি লজ্জা নাহি কুলাঙ্গার ওরে । বিভীষিকা প্রায় ভয় দেখাও সবারে ॥ বৃদ্ধ হৈলে লোক প্রায় মতিচ্ছন্ন হয় । ধৰ্ম্মচু্যত কথা তাই কহ দুরাশয় ॥ কুরুগণ মধ্যে তোম। দেখি এইমত । অন্ধ যেন অন্ধজনে জিজ্ঞাসয়ে পথ ॥ কৃষ্ণের বড়াই না করহ বহুতর । তাহার মহিম। যে কাহার অগোচর ॥ তার অগ্ৰে কহ নাহি জানে যেইজন। স্ত্রীলিঙ্গ পুতনা দুষ্টা করিল নিধন ॥ কাষ্ঠের শকটখান দিল ফেলাইয়া । পুরাতন দুই বৃক্ষ ফেলিল ভাঙ্গিয় ॥ বৃষ অশ্ব মারিয়া হইল অহঙ্কার । ইন্দ্রজাল করি কংসে করিল সংহার ॥ সপ্তদিন গোবৰ্দ্ধন ধরিল বলয় । এ সব তোমার চিত্তে মোর চিত্তে নয় ॥ বলীকের ছত্র প্রায় লাগে মম মনে ॥ বড় বলি কহিল অবোধ গোপগণে ॥ সাধুজন সঙ্গে তোর নাহিক মিলন । শুন আমি কহি যে কহিল সাধুজন ॥ স্ত্রীলিঙ্গ গো দ্বিজ আর অন্ন খাই যার । এইজনে কদাচিত না করি প্রহার ॥ স্ত্রীলিঙ্গ পুতনা মারি বৃষ মারে মাঠে । | ংসেরে মারিল যার অৰ্দ্ধ অন্ন পেটে ॥ তোর কৰ্ম্মে পাণ্ডবের বড় হবে তাপ । ধৰ্ম্মচু্যত হৈলি তুই দুষ্টমতি পাপ ॥ আপনারে ধৰ্ম্মজ্ঞ বলিস লোক মাঝ । ইহার যতেক কৰ্ম্ম শুন সৰ্ব্ব রাজ ॥