পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরাটপৰ্ব্ব । ] শ্ৰীবৎসঙ্কমুদার কৌস্তভম্বরং পীতাম্বরং হন্দরং । 886: -- মৃত্যু সম বনে দুঃখ দ্বাদশ বৎসর । বঞ্চিলাম তোমার নিকটে নরবর ॥ পাণ্ডবের পতি তুমি পাণ্ডবের গতি । তুমি যেই পথে যাবে, সবে সেই পথি ॥ কহিলেন ধৰ্ম্মরাজ দ্বিজগণ প্রতি । সবে জান আমাকে যা কৈল কুরুপতি ॥ ংসরেক অজ্ঞাত থাকিব লুকাইয়া । ততদিন যথা স্থানে সবে রহ গিয় ॥ দ্বিজগণে মেলানি করিলা নৃপমণি । পড়িলেন মুৰ্চ্ছাপন্ন হইয়া ধরণী ॥ ভ্রাতৃগণ ধৌম্য আদি যত দ্বিজ আর । রাজারে বুঝান সবে বিবিধ প্রকার ॥ বিপদকালেতে রাজা অধৈৰ্য্য না হবে । প'র হৈলে শত্ৰুগণে বিজয় করিবে ॥ বড় বড় রাজাগণ বিপদে পড়িয়া । পুনরপি রাজ্য সাধে মন্ত্রণা করিয়া ॥ সন্নিকটে না থাকিয়া অন্তরে থাকিবে । লাভালাভ না বিচারি অনুজ্ঞা রাখিবে ॥ ভ্রাতৃবন্ধু পূৰ্ব্বেতে রাজার নাহি প্রীত । নৃপতি করেন কৰ্ম্ম অতি মনোনীত ॥ আমি কি কহিব তোমা পণ্ডিত সকলে । কাল কাটি পুনরপি আইস কুশলে ॥ । এত শুনি উঠিয়া পাণ্ডব পঞ্চজন । প্রদক্ষিণ করি ধৌম্য চলেন তখন ॥ কাম্যবন ছাড়িয়া যমুনা হৈল পার। ধম্যে শাল্য দক্ষিণেতে পাঞ্চাল বিস্তার ॥ *রসেন রাজ্যমধ্যে করিয়া প্রবেশ । পদব্রজে চলি যান বিরাটের দেশ ॥ মংস্যদেশ ছাড়ি গেল ধৌম্য তপোধন । 4মযুক্ত কৃষ্ণ রাণী বলয়ে বচন ॥ চলিবার শক্তি আর না হয় নৃপতি । নিশি এই ঠাই করছ বসতি ॥ নকটে না দেখি দূর বিরাট নগর। পলি প্রাতে যাইব অজ্ঞাত নরবর ॥ তি বলেন কালি হইবে অঙ্গুত। বদিত হইলে লোকে হইবে অনৰ্থ। পার্থে ডাকি আজ্ঞা দেন ধৰ্ম্মের তনয় ।

দ্রৌপদীরে স্কন্ধে করি লহ ধনঞ্জয় ॥ আজ্ঞামাত্রে ধনঞ্জয় করিলেন স্কন্ধে । ঐরাবত স্কন্ধে যেন ইন্দ্রাণী আনন্দে ॥

নগর বিরাট যে হইল কতদূর । ভ্রাতৃগণে বলিলেন ধৰ্ম্মেরু ঠাকুর । সশস্ত্র নগরে যদি করিব প্রবেশ । দৃষ্টিমাত্রে সর্বলোক চিনিবে বিশেষ ॥ বাল বৃদ্ধ যুবতে গাণ্ডীব ধনু খ্যাত । হেন স্থানে রাখ যেন লোকে নহে জ্ঞাত ॥ অৰ্জ্জুন বলেন এই দেখ শমীন্দ্ৰম । ভয়ঙ্কর শাখা সব পরশয়ে ব্যোম ॥ আরোহিতে না পরিবে অন্য কোন জন । ইহাতে রাখি যে অস্ত্র যদি লয় মন ॥ অর্জনের বাক্যে রাজা করেন স্বীকার । হেনমতে রাখা যেন না হয় প্রচার ॥ তবে ত গাওঁীব ধনু খসাইয়া গুণ । গদা শঙ্খ আদি যত অস্ত্রপূর্ণ তৃণ ॥ বসন আচ্ছাদি সব একত্র করিয়া । রাখিলেন উচ্চতর শাখাতে বান্ধিয়া ॥ নিকটে তাহার যত ছিল গোপগণ । সবাকারে পুনঃ পুনঃ বলেন বচন ॥ পথেতে আসিতে বৃদ্ধা জননী মরিল । অগ্নির সংযোগে বৃক্ষে রাখা গেল ॥ কুলক্রমে আমার আছয়ে এই পণ । কিবা অগ্নি দহি কিবা এই মম মন ॥ তবে জয় বিজয় জয়ন্ত জয়ৎসেন । জয়দ্বল নাম পঞ্চ গুপ্তে রাখলেন ॥ মহাভারতের কথা অমৃত-সমনি । কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান ॥ পঞ্চপাওবের বিরাট সভায় প্রবেশ । কাখেতে দেবন মণি মাণিক্যের সাজ। সভামধ্যে প্রথমে গেলেন ধৰ্ম্মরাজ ॥ যুধিষ্ঠির রূপ দেখি মুগ্ধ মৎস্যপতি । সভালোকে চাহিয়া জিজ্ঞাসে শীঘ্ৰগতি ।