পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্যোগপৰ্ব্ব | ] উদ্যোগপর্বের কথা অমৃত-সমান । aterবর উপাখ্যান অদ্ভূত আখ্যান ॥ শুনিলে অধৰ্ম্ম খণ্ডে হরে ভবভয় । পয়ার প্রবন্ধে কাশীরাম দাস কয় ॥ বলি বামোনোপাখ্যান । তবে ধৌম্য কহে শুন অম্বিকানন্দন । কহিব অপূৰ্ব্ব কথা করহ শ্রবণ ॥ আদি দৈত্য হিরণ্যকশিপু হিরণ্যক্ষ । মহাবলয়ন্ত হৈল প্রতাপে পাবক ॥ রুতির গর্ডের জাত কশ্যপ ঔরসে । ব্লগতের মধ্যে দৃষ্ট হইল বিশেষে ॥ গ্রহার নন্দন হৈল বিখ্যাত জগতে । সৰ্ব্ব শাস্ত্রে বিচক্ষণ প্ৰহলাদ নামেতে ॥ হ'র পুত্র বিরোচন বিখ্যাত ভুবনে । রে বিড়ম্বিল আসি অদিতি নন্দনে ॥ ব্রাহ্মণরূপেতে আসি দীন মাগি নিল । সইক্ষণে বিরোচন নিজ অঙ্গ দিল ॥ aক্ষণের হেতু ত্যজে আপনার প্রাণ । হার নন্দন হৈল বলি মতিমান ॥ প্ৰতাপে প্রচণ্ড বলি দেবের দুর্জয় । :হিবলে স্বৰ্গ মর্ত্য করিলেক জয় ॥ জানিলেক শুক্র গুরুস্থানে উপদেশে । ইল করি দেবরাজ বাপেরে বিনাশে ॥ পতৃবৈরী হয় ইন্দ্ৰ শুনিল শ্রবণে । মঈক্ষণে ডাকি আজ্ঞা দিল দৈত্যগণে ॥ তুরঙ্গ সৈন্যসহ সাজিল ত্বরিত । গুঞ্জর নগরে গিয়া হৈল উপনীত ॥ বিধ বাদ্যের শব্দে পূরিল গগন । দৈত্যসৈন্য ব্যাপিলেক ইন্দ্রের ভুবন ॥ শুনি দেবরাজ ক্রোধে ল’য়ে সৈন্যচয়। সহিত রণ করিল প্রলয় ॥ "f(ই বলবন্ত দোহে সংগ্রামে প্রচণ্ড । *ম অস্ত্রবৃষ্টি করে যেন যমদণ্ড ॥ *ল শূল শক্তি জাঠি ভুষণ্ডী মুদগর। পরশু পট্টীশ গদা বিশাল তোমর ॥ ধ্যাজৈবং পূজয়েন্ধমান দৈত্যং রূপকুমারকং । Ф е 4 যেন প্রলয়ের কালে মজাইতে স্বষ্টি । দেবতা অস্থরগণ করে বাণবৃষ্টি ॥ বলিরে চাহিয়া ইন্দ্র বলে ক্রোধমন । মোর হস্তে আজি তোর হইবে নিধন ॥ এই দেখ অস্ত্র মোর ঘোর দরশন । ইহার প্রহারে তোরে করিব নিধন ॥ এত বলি ইন্দ্র অস্ত্র যুড়িল ধনুকে । ক্ষণে অস্ত্রবৃষ্টি হয় ধনুকের মুখে ॥ শূন্যেতে আইসে অস্ত্র উল্কার সমান । অৰ্দ্ধচন্দ্র বাণে বলি করে দুইখান ॥ অস্ত্র বার্থ দেখি ইন্দ্র মনে পেয়ে লাজ । শক্তি অস্ত্র হানে তার হৃদয়ের মাঝ ॥ দুই বাণে বলি তাহ করে দুই খণ্ড । বাহুবলে মায়াবলে বিন্ধিল প্রচণ্ড ॥ সেই অস্ত্রাঘালে ইন্দ্র হইল মুছিত } মাতলি বাহুড়ি রথ পলায় ত্বরিত ॥ কতক্ষণে দেবরাজ হন সচেতন । মাতলিরে নিন্দ করি বলিল বচন ॥ সম্মুখ সংগ্রাম মধ্যে বাহুড়িলি রথ । পলাইয়া গেলি যেন নাহি দেপি পথ ॥ মাতলি বলিল মোরে নিন্দ অকারণ । অবধানে কহি শুন শাস্ত্র নিরূপণ ॥ রথী মুহুঁ দেখি রথ বাহুড়ে সারথি । যুদ্ধশাস্ত্রে যোদ্ধাগণ কহে হেন নীতি ॥ ইন্দ্র বলে শীঘ্ৰ তুমি বাহুড়াহ রথ । বলিরে দেখাব আমি শমনের পথ ॥ আজ্ঞা মাত্র রথ পুনঃ চালায় মাতলি । হাতাতে পরিঘ নিল ইন্দ্র মহাবলী ॥ পরিঘ এড়িল ইন্দ্র উপরে বলির । মুকুট কুণ্ডল সস্থ কাটলেন শির ॥ হাহাকার শব্দ করে যত দৈত্যগণ । পলাইল সকলে না র.ই একজন ॥ তবে দৈত্য সমবেত হয়ে কতজনে । কান্ধে করি বলিরাজে ল’য়ে সেইক্ষণে ক্ষীরসিন্ধু স্থানে গেল সবে শুক্রস্থান । মন্ত্রবলে শুক্র তারে দিল প্রাণদান ॥