পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২৪ নিশাচেীরের ধ্যান—ওঁ কৃষ্ণবর্ণং রক্তনেত্ৰং নিশাচোঁর ভয়ানকং । [ মহাভাক আমি মাত্র করিব কেবল সূতপণ । সে কারণে শুন কহি রাজ। দুর্য্যোধন ॥ নারায়ণী সেন। মম আছে কোটি সাত । মম সম তেজ বীৰ্য্যে জগতে বিখ্যাত ॥ মহাবলবান সবে বিক্রমে অপার । এক এক জন হয় সমান আমার ॥ প্রতাপেতে কাৰ্ত্তবীৰ্য্য সম জনে জন । মহারথি মধ্যে গণি বিপক্ষে শমন ॥ এত শুনি দুর্য্যোধন ভাবিল অন্তরে । নারায়ণী সেনাগণ অতুল সংসারে ॥ নারায়ণী সেন। যদি পাই কোটি সাত । করিব অতুল যুদ্ধ পণ্ডিবের সাথ ॥ একক ইহারে নিলে হবে কোন কায । এতেক ভাবিয়া চিত্তে কহে কুরুরাজ ॥ আমার সাহায্যে দেহ সেন। নারায়ণী । এই মম সাহায্য করহ চক্রপাণি ॥ গোবিন্দ বলেন রাজা যে আজ্ঞ। তোমার । শুনিয়া হইল হৃষ্ট কৌরব-কুমার ॥ নারায়ণী সেনা ল’য়ে গেল দুৰ্য্যোধন । দেখিয়া অৰ্জ্জুন হইল বিষন্ন-বদন ॥ জয় প্রভু জগন্নাথ জয় চক্রধারা । তোমার মহিমা-গুণ কি বলিতে পারি ॥ শিষ্টজন পাল তুমি দুষ্টেরে সংহার। জগন্নাথ নাম এই কারণ তোমার ॥ দারুরূপে পূৰ্ণব্ৰহ্ম নীলাচলে বাস । জগতের হিত তব অতুল প্রকাশ ॥ অনুক্ষণ র্তাহার চরণে বহু নতি । কাশীরাম দাস কহে মধুর ভারতা ৷ অজুনের মনোদুঃখে শ্ৰীকৃষ্ণের প্রবেধিবাক্য । নারায়ণী সেনা কৃষ্ণ দিল দুৰ্য্যোধনে । দেখিয়া হইল দুঃখ অৰ্জ্জুনের মনে ॥ পার্থের অন্তর বুঝি কহিলা শ্ৰীপতি ॥ কি হেতু হইলে সখ। তুমি দুঃখমতি ॥ নারায়ণী সেনা যত দিলাম উহারে । সবে হত হুইবেক তোমার প্রহারে । পূর্বের কাহিনী কহি শুন দিয়া মন T একদিন আমারে কহিল পিতৃগণ ॥ ংশের তিলক তুমি পুর্ণ ব্রহ্মরূপে । সকল সংসার এই তব লোমকূপে ॥ তুমি বিষ্ণু বিশ্বরূপ নর-অবতার। আমাদিগে কর প্রভু আপনি উদ্ধার ॥ মগধ রাজ্যেতে জগত বরাহ আছয় । তার মাংস আনি শ্রাদ্ধ কর মহাশয় ॥ তবে হবে তৃপ্তিযুক্ত আমাদের মন । এই মত কহিলা আমাকে পিতৃগণ ॥ পিতৃগণবাক্যে করিলাম অঙ্গীকার । পুনরপি আমারে কহিল আরবার ॥ একাকী যাইবে তুমি বরাহ মারিতে। একজন সঙ্গে নাহি লবে কদাচিতে ॥ . যদি সেই দুষ্ট মাংস হইবে নিশ্চয় । না হইবে আমাদের তাহে পাপক্ষয় ॥ পিতৃগণ বাক্য শুনি অশ্বে আরোহিয়া । একাকী মগধ রাজ্যে প্রবেশিলু গিয়া ॥ জরাসন্ধে আসিয়া কহিল সমাচার । সসৈন্যে সাজিয়া সেই আছে তুরাচার ॥ একেশ্বর বেড়িলেক করি শতপুর। সৈন্য-কোলাহল শব্দ গেল বহুদুর ॥ ভাবিলাম উপায় না দেখিয় তখন । একেশ্বর বলে পরাজিব কত জন ॥ দুরন্ত দুৰ্জ্জয় সেই মগধের সেন । যত মরে তত জীয়ে না হয় গণন ॥ অনেক ভাবিয়া আমি যুক্তি করি সার । অঙ্গ বৃদ্ধি করিলাম পৰ্ব্বত আকার ॥ অঙ্গ হৈতে সেইক্ষণে হইল স্বজন । দেখিতে দেখিতে নারায়ণী সেনাগণ ॥ শত সহস্ৰ মহারথী অঙ্গেতে জন্মিল । জরাসন্ধ সঙ্গে তার যুদ্ধ আরম্ভিল । যুদ্ধে পরাভূত হৈল মগধ রাজন। ভঙ্গ, দিয়া পলাইল যত সৈন্যগণ ॥ তবে সেই বরাহেরে চক্রেতে প্ৰহারি । আসিলাম নারায়ণী সেনা সঙ্গে করি ৪