পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ 8ぐ2 সৰ্ব্বগুণসমম্বিত ছিল ত ব্রাহ্মণ । স্বঘোষ তাহার নাম শাস্ত্রে বিচক্ষণ ॥ স্বশীল নামেতে র্তার ভাৰ্য্যা গুণবতী । পুত্রবাঞ্ছা করি ধনী সেবে পশুপতি ॥ পুত্র না জন্মিল তার যুবাকাল গেল । বিপ্রের বৈরাগ্য বড় অন্তরে হইল ॥, ভাৰ্য্যা সহ বনে গেল তপস্যা কারণ । হিমালয় তটে উত্তরিল দুইজন ॥ দেখিয়া বিচিত্র বন প্রীত পায় মনে ॥ রচিয়া কুটার তথা রহে দুইজনে ॥ একদিন গেল ঋষি ফলের কারণ । ভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে দেখে দৈব নিৰ্ব্বন্ধন ॥ অনাথ মার্জার শিশু পড়ি আছে বনে । ব্রাহ্মণ দেখিয়া শিশু চাহে চারি পানে ॥ পলাইতে শক্তি নাহি শিশু কলেবর । চতুর্দিকে বেড়িয়াছে বায়ুস পামর ॥ তার দুঃখ দেখি বিপ্ৰ হৃদে হৈল দয়া । জিজ্ঞাসিল মার্জারের নিকটেতে গিয়া ॥ একাকী এথায় তুমি কিসের কারণ । মাতা পিতা বন্ধু তোর নাহি কোন জন ৷ বিড়াল বলয়ে কেহ নাহিক সংসারে । প্রসবিয়া মাতা মোর গেছে কোথাকারে ॥ জননী ছাড়িয়া গেল দৈব নিৰ্ব্বন্ধন । একাকী অনাথ হয়ে রহিয়াছি বনে ॥ মুনি বলে আমি তোমা করিব পালন । বঞ্চিবে পরম মুখে আমার সদন ॥ অপুত্ৰক আছি আমি পুত্ৰ নাহি হয় । পুত্রবৎ করি তোমা পালিব নিশ্চয় ॥ এত শুনি বিড়ালের হৃষ্ট হৈল মন । বিপ্রের চরণে আসি করিল বন্দন ॥ বিড়ালে লইয়া মুনি আসিল কুটীরে । পালন করিতে তারে দিলেন ভাৰ্য্যারে ॥ বিড়াল লইয়। তুষ্ট হইল সুন্দরী । পালন করিল তারে পুত্রবৎ করি ॥ মায়৷ মোহে বদ্ধ হ’য়ে সবে পাশরিল । বিড়ালে লইয়৷ ধোহে নগরে আসিল । - - ངོ་ བོད་ལོ་ ཟློ། ངོ་ལོ་ཡོངས་ག་། লোলজিহাং খোরদংষ্ট্রং কোটরাক্ষীং হসন্মুখীং । [ মহাভাক । পুনরপি গৃহধৰ্ম্ম করে দুইজনে । বলবন্ত হৈল সেই অধিক পালনে ॥ স্বভাব পশুর জাতি ছাড়িবারে নারে । বহু উপদ্রব করে গৃহস্থের ঘরে ॥ যজ্ঞহবি নষ্ট করে পায়সান্ন খায় । মারিতে আলিলে লোক পলাইয়া যায়ু । ক্রোধে নগরের লোক দুঃখী মনে মন । সবে ব্রাহ্মণেরে গালি দেয় অনুক্ষণ ॥ কোথায় তপস্তা তব কোথায় ব্রহ্মণ্য । পুত্রহীন হয়ে তুমি হলে মতিচ্ছন্ন ॥ বিড়ালেরে এত স্নেহ পুত্রবৎ কর । সহজে পশুর জাতি মনে নাহি ডর ॥ এইরূপে বলে মন্দ নগরের জন । ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী ক্রোধে জ্বলিল তখন ॥ ধরিয়া সিচিকণবাড়ি প্রহারে বিড়ালে । বান্ধিয়া রাখিল তারে হাতে পায়ে গলে ॥ দিন দুই তিন তারে রাখিল বন্ধনে । বড়ই বৈরাগ্য হৈল বিড়ালের মনে ॥ কোনমতে পারি যদি ছাড়াতে বন্ধন । তপস্যা করিয়া পাপ করিব মোচন ॥ গৃহবাসে কাৰ্য্য নাই যাব বনবাস । অনাহারে পাপ আত্মা করিব বিনাশ ॥ এরূপে বিড়াল মনে মনে যুক্তি করি। দন্তেতে কাটিল তবে বন্ধনের দড়ি ৷ সেইক্ষণে গৃহ হতে হইল বাহির । দ গুক কাননে গিয়া হইলেক স্থির ॥ বিন্দু সরোবরে তথা করি স্নানদান । একে একে সর্ববতীর্থে করিল প্রয়াণ ৷ ধরা প্রদক্ষিণ ব্ৰত করি একে একে । বিড়াল সন্ন্যাসী বলি খ্যাত হৈল লোকে । সমুদ্রের মাঝে দ্বীপ অতিরম্য নামে । বহু মুম্বাগণ তথা থাকে অনুক্রমে ॥ তথা গিয়া উত্তরিল বিড়াল সন্ন্যাসী । দেখিয়া সকল মুম্বা মনে ভয় বালি ! হাহাকার করি সব পলায় তরাসে । আশ্বাসিয়া বিড়াল তবে কহে সবিশেষে ।