পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৮২ মাতঙ্গীর ধ্যান—শ্বামাঙ্গীং শশিশেখরাং ত্রিনয়াং রত্নসিংহাসন— [ মহাভারত । তবে পার্থ লক্ষ শর এড়েন ত্বরিতে । লক্ষ লক্ষ সেনা কাটি পাড়েন ভূমিতে ॥ পার্থের বিক্রম দেখি ভীষ্ম লয় ধনু । আশী বাণ দিয়া বিন্ধে অর্জনের তনু ॥ অঙ্গেতে প্রবেশে শর রক্ত পড়ে ধারে । আর ষাটি বাণ মারে কৃষ্ণের শরীরে ॥ সহস্ৰেক বাণ বীর মারিলেন ধ্বজে । বাণাঘাতে কপিধ্বজ অধিক গরজে ॥ লক্ষ লক্ষ শরাঘাতে মারে সেনাগণ । হয় গজ রথী পড়ে কে করে গণন ॥ বহিল শোণিত নদী ঘোরতর স্রোতে । রথ অশ্ব গজপতি ভাসি বুলে তাতে ॥ পুনঃ দিব্য অস্ত্র এড়ে গঙ্গার নন্দন । সেই বাণে কাটিলেন গাণ্ডীবের গুণ ॥ ধনুকেতে আর গুণ দিতে ধনঞ্জয় । শঙ্খধ্বনি করি বীর রথ বাহুড়িল । সন্ধ্য। জানি সৰ্ব্বজন শিবিরে চলিল ॥ কৌরব পাণ্ডব গেল আপনার ঘর। কাশী কহে সপ্তদিন হইল সমর ॥ কষ্ণাৰ্জুনের ছলে দুৰ্য্যোধনের মুকুট আনয়ন । কৌরবের যোদ্ধাগণ চলিল শিবির। ভীষ্মের নিকটে গেল দুৰ্য্যোধন বীর ॥ পিতামহ পদে বীর প্রণাম করিয়া । সবিনয়ে কহে রাজা কৃতাঞ্জলি হৈয়া ॥ তোমার সমান বীর নাহিক সংসারে । দেবতা দানবগণ সবে তোমা ডরে । নিঃক্ষত্র পৃথিবীকারী রাম মহাশয় । তোমার নিকটে হৈল তার পরাজয় ॥ হেন মহাবীর তুমি দুৰ্জ্জয় সংসারে । মুহুর্ভেকে তিন লোক পার জিনিবারে ॥ সাত দিন পাণ্ডব সহিত কর রণ । নির্বিঘ্নে গৃহেতে যায় ভাই পঞ্চজন । যদ্যপি রণেতে কালি না মার পাণ্ডবে। অপযশ তোমার যে ঘুষিবেক সবে ॥ রুষিয়া উঠিল শুনি ভীষ্ম মহাবীর। T তৃণ হৈতে পঞ্চশর করিল বাহির । মহাকাল নাম তার জানে সৰ্ব্বজন । স্বরপতি বজ সম নহে নিবারণ ॥ বাণ হস্তে করি কহে জাহ্নবী-নন্দন । কোন চিন্তা নাহি তব শুনহূর্য্যোধন ॥ কল্য রণে পাণ্ডবে নাশিব এই শরে । দেব দামোদর যদি ছল নাহি করে ॥ কৃষ্ণের কারণ বঁাচে ভাই পঞ্চজন । নহিলে কি শক্তি তার সহে মম রণ ॥ কালি পাণ্ডুপুত্রেরে মারিব এই শরে । তবে সে যাইব আমি আপনার ঘরে ৷ দুৰ্য্যোধন শুনি মহা আনন্দ হুইল । দিব্য রত্বগৃহ তথা নিৰ্ম্মাইয়া দিল ॥ সেই গৃহে রহিলেন গঙ্গার নন্দন । ভূর্য্যোধন মনে ভাবে জিনিলাম রণ ॥ যুধিষ্ঠির মহারাজ সহ ভ্রাতৃগণ । যত যোদ্ধাগণ আর দেব নারায়ণ ॥ সুভা করি বসিলেন আপন আলয় । সহদেবে জিজ্ঞাসেন দেবকী-তনয় ॥ কিমতে হইবে কালি যুদ্ধের করণি । প্রকাশ করিয়া তাহ কহ মন্ত্রিমণি ॥ সহদেব বলে শুন সংসারের সার”। সকল জানহ তুমি কি বলিব আর ॥ দুৰ্য্যোধন আদেশেতে পিতামহ বীর । তৃণ হৈতে পঞ্চশর করিল বাহির । পাণ্ডব বধিব বলি প্রতিজ্ঞ করিল। দ্বারেতে রহিল অন্তঃপুরে নাহি গেল ॥ পাণ্ডবের হর্তা কর্তা তুমি মহাশয় । বুঝিয়া করহ কাৰ্য্য উচিত যে হয় ॥ শুনি যুধিষ্ঠির পাইলেন মহাভয় । ভীষ্মের প্রতিজ্ঞ কভু লঙ্ঘন না হয় ॥ সবান্ধবে কালি সবে হইবে নিধন । কি উপায় ইহার হইবে নারায়ণ ॥ শ্রীহরি বলেন রাজা চিন্তা না করিহ ধনঞ্জয় বীরেরে আমার সঙ্গে দেহ ॥