পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VSDN9 বিষম সমরে সেনা করিল নিধন । বিমানে বসিয়া দেখে সৰ্ব্ব দেবগণ ॥ শোকাকুল দুৰ্য্যোধন হইল মূৰ্চিছত । জ্ঞানহীন হৈল যেন নাহিক সম্বিত ॥ কৰ্ণ কর্তৃক ঘটোৎকচ বধ । কি করিব কি হইবে ইহার উপায় । ভাবিতে ভাবিতে তার হৃদয় শুকায় ] চিন্তাজ্বর উপজিল থর থর কপি । আগুন ছুটিল গায় হয়ে অনুতাপী ॥ হেনকালে অশ্বথামা দোণের নন্দন ! কর্ণেরে কহিল শুন আমার বচন ॥ একঘাতী অস্ত্র আছে তোমার সদনে । বজের সদৃশ অস্ত্র নহে নিবারণে ॥ সেই অস্ত্র এড়ি মার ভীমের নন্দন । অবশ্য সংহার হবে না যায় খণ্ডন ॥ ইহা বিনা আর কিছু না দেখি উপায়। সেই বাণে হবে ক্ষয় কহিনু তোমায় ॥ কর্ণ বলে সেই বাণে বধিব অর্জুনে । যতনে রাখিনু আমি তাহার কারণে ॥ কবচ বিতরি পাই সেই মহাবাণ । তাহাতে অর্জন বীর না ধরিবে টান ॥ এই অস্ত্রাঘাতে যদি ঘটোৎকচে বধি । নিশ্চয় লিখিল মম মৃত্যু তবে বিধি ॥ অর্জনের হাতে মম অবশ্য মরণ । করিল বিধাতা তার এই সংঘটন ॥ বধিতাম অৰ্জ্জুনে অবশু এই বাণে । ঘত্ব করি রাখিয়াছি তাহার কারণে ॥ অশ্বথামা বলে ভাল বলিলে বিধান । আজি ঘটোৎকচেরে কর সমাধান ॥ ইহার হাতেতে যদি রক্ষা পাও রণে । তবে অর্জুনেরে তুমি বধিবে জীবনে ॥ এত শুনি কর্ণ কহে আনন্দিত মন । ভাল যুক্তি কহিলা হে গুরুর নন্দন ॥ দুৰ্য্যোধন বলে শুন কর্ণ ধনুৰ্দ্ধর । এই অস্ত্র এড়িয়া রাক্ষস বধ কর । স্ফরম্ম কুট মাণিক্য কিঙ্কিনীজালমণ্ডিতাং ॥ [ মহাভারত, - হেন অস্ত্র আছে যদি তোমার সদনে । তবে চিন্তা কর তুমি কিসের কারণে ॥ অর্জনে বধিবে বলি রাখিয়াছে বাণ । যে হয় পশ্চাৎ তার করিব বিধান ॥ আজি রক্ষা কর ঝাট রাক্ষসের হাতে । কেমনে দেখহ সেনা সংহারে সাক্ষাতে ॥ এইকালে শীঘ্র কর রাক্ষস সংহার। কোটি কোটি সৈন্য দেখ মারিল আমার । এত শুনি কর্ণবীর চলিল সত্বর । হাতে ধনু করি উঠে রথের উপর ॥ মহাদম্ভ করি যায় রবির নন্দন । দেখি দুর্য্যোধন হৈল আনন্দিত মন ॥ তবে কর্ণ মহাবীর সন্ধান পূরিয়া । ঘটোৎকচ সন্নিধানে উভরিল গিয়া ॥ কোপে ঘটোৎকচ বীর গদা ল’য়ে করে । হুঙ্কার করিয়া ধায় সংগ্রাম ভিতরে ॥ গদুগর প্রহারে মারে বড় বড় রথী । নলবন দলে যেন মদমত্ত হাতী ॥ গলা ধরি ঘোড়া মারে করি-কুন্তে গদ । গজ্জিয়া গজেন্দ্র পড়ে, পাড়ে রণে গদা ॥ চরণের বীরদাপে বহুমতী কাপে । সাগর লঙ্ঘিতে যার শক্তি একলাফে ॥ বাণ নাহি বিন্ধে গায় উখড়িয়া পড়ে । ঘন ঘন সংগ্রামেতে সিংহনাদ ছাড়ে ॥ বিপরীত বীরবর মহা বক্রগতি । দেখি মহাকোপে ধায় অঙ্গদেশ পতি ॥ লইয়া একাল্পী অস্ত্র রবির তনয় । t সন্ধান পূরিয়া মারে রাক্ষস-হৃদয় ॥ অনল সমান চলে একঘাতী অস্ত্র । দেখি ঘটোৎকচ ভয়ে হইলা নিরস্ত্র ॥ পৰ্ব্বত হইয়া অস্ত্র আইসে ত্বরিতে । পড়িছে অনলকণ। সে অস্ত্র হইতে ॥ i বাণ দেখি রাক্ষসের উড়িল পরাণ । নিতান্ত ইহার হাতে নাহিক এড়ান । নানা অস্ত্র এড়ে বীর বাণ কাটিবারে । মুষল মুদগর মারে অস্ত্রের উপরে "