এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
দুর্গার ধ্যান-- জটাজূট-সমাযুক্তা-মর্দ্ধেন্দু-কৃতশেখরং
যতেক বচন সত্য বলে শকুন্তলা। শকুন্তলা বাক্যে রাজা করিও না হেলা।। সতী পতিব্রতা এই তোমার গৃহিনী। পুত্রসহ সম্ভাষণ কর নৃপমণি।। স্বামী বলি শকুন্তলা তোমারে ক্ষমিল। শকুন্তলা ক্রোধে তব নাহি হবে ভাল।। বংশের তিলক রাজা এই যে নন্দন। আমার বচনে কর রক্ষণ ভরণ।। ভরত বলিয়া নাম রাখহ ইহার। ইহা হৈতে বংশোজ্জ্বল হইবে তোমার।। দুষ্মন্ত নৃপতি শুনে মন্ত্রী পুরোহিত। এতেক আকাশবাণী হৈল আচম্বিত।। রাজা বলে মন্ত্রীগণ করিলা শ্রবণ। আমি ও জানি যে ইহা নহি বিস্মরণ।। একারণে আমি ভাণদালাম মন্ত্রীগণে। বেশ্যা বলি ইহারে জানিল সর্ব্বজনে।। এত বলি শীঘ্র উঠি দুষ্মন্ত রাজন। শকুন্তলা হস্ত ধরি ফিরায় তখন।। মহানন্দে নরপতি পুত্র কৈল কোলে। শত শত চুম্ব দিল বদন কমলে।। শকুন্তলা কৈল রাজা রাজপাটেশ্বরী। পরম কৌতুকে চিরদিন রাজ্য করি।। কতদিনে বৃদ্ধকালে দুষ্মন্ত রাজন। ভরতেরে রাজ্য দিয়া গেল তপোবন।। পৃথিবীতে মহারাজ হৈল ভরত। অশ্বমেধ যজ্ঞ আদি করে শত শত।। লক্ষ পদ্ম সুবর্ণ ব্রাম্ভণে দিল দান। দাতা যে নাহিক কেহ ভরত সমান।। সসাগরা পৃথিবী শাসিল বাহুবলে। অদ্যপি ভারতভূমি ঘোষে ভূমণ্ডলে।। তাঁর বংশে যত যত হৈল নরপতি। ভরতের বংশ বলি হইল সুখ্যাতি।। ভারতের উপাখ্যান যেই নর শুনে। আয়ুর্যশ পূণ্য তার বাড়ে দিনে দিনে।। আদিপর্ব্ব ভারত রচিল বেদব্যাস। পাঁচালী প্রবন্ধে গায় কাশীরাম দাস।। ----
চন্দ্রবংশের বিবরণ।
জন্মেজয় বলে কহ মুনি মহামতি। চন্দ্রবংশে ভরতের হইল উৎপত্তি।। চন্দ্র হৈতে বংশ হৈল কিমত প্রকারে। সে সকল কথা মুনি শুনাও আমারে।। মুনি বলে শুন পরীক্ষিতের নন্দন। কহিব সকল কথা করহ শ্রবণ।। ভাল কথা জিজ্ঞাসিলে ভারত আখ্যান। সোমবংশ চরিত্র করহ অবধান।। মরীচি ব্রম্ভার পুত্র বিখ্যাত সংসার। কশ্যপ নামেতে পুত্র হইল তাঁহার।। তাঁহার নন্দন হৈল সূর্য্য মহাশয়। বৈবস্ব নাম হৈল তাঁহার তনয়।। তাঁহার নন্দন হৈল বিদিত জগতে। ইলাগর্ভে পুরূরবা বুধের বীর্য্যেতে।। অষ্টাদশ দ্বীপে সেই হৈল নরপতি। চিরদিন ক্রীড়া করে উর্ব্বশী সংহতি।। নৃপতি হইল আয়ু তাঁহার তনয়। তাঁর পুত্র হইল নাহুষ মহাশয়।। স্বর্গে ইন্দ্ররাজ হৈল আপনার গুণে। সর্পযোনি পাইয়াছে ব্রম্ভার বচনে।। যযাতি নেইপতি হৈল তাঁহার কুমার। যযাতির গুণ যত কহিতে অপার।। শুক্রশাপে জরাগ্রস্ত তাহার শরীর। পুত্রে জরা দিয়া রাজ্য করিল সুধীর।।
-------
শুক্রস্থানে কচের মন্ত্রগ্রহণ জন্মেজয় বলে কহ ইহার কারণ। শুক্রস্থানে কোন্ দোষ করিল রাজন্।। কোন্ হেতু শাপ দিল ভৃগুর কুমার। সে সব চরিত্র কহ করিয়া বিস্তার।। মুনি বলে শুনহ নৃপতি জন্মেজয়। দেবতা অসুর যুদ্ধ নিরন্তর হয়।। নিজ নিজ হিত সবে বাঞ্ছা করি মনে। দুই দলে পুরোহিত কৈল নিয়োজনে।।