পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- সৌতিকপৰ্ব্ব । ] ধ্যায়েন্নারায়ণং দেবং চতুৰ্ব্বৰ্গ ফলপ্রদং ॥ e 》 রাজার নিকটে আসি বীর তিনজন । দপ করি কহে কথা দ্রোণের নন্দন ॥ অবধানে কথা শুন রাজা দুর্য্যোধন । মারিলাম তব শক্র পাণ্ডুর নন্দন ॥ পাঞ্চাল বিরাট আদি যত বীর ছিল । সকলে আমার হাতে আজি মারা গেল ॥ যে প্রতিজ্ঞা করিলাম সাক্ষাতে তোমার । আজি আমি করিলাম পালন তাহার ॥ পঞ্চ পাণ্ডবের মুণ্ড দেখহ সাক্ষাতে । এক জন না রাখিনু পাণ্ডব-সৈন্তেতে ॥ এত শুনি হরষিত হৈল দুৰ্য্যোধন। : সাধু সাধু বলি রাজা বলিল বচন ॥ মহাভারতের কথা অমৃত সমান । কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান ॥ হর্ষ-বিষাদে দুর্য্যোধনের মৃত্যু । পড়িয়া আছিল রাজা ভূমির উপর । বাহুযুগে ভর দিয়া উঠিল সত্বর ॥ রিপু নাশ শুনি রাজা তুষ্ট হৈল চিত্তে । পাণ্ডবের মুণ্ড রাজ চাহিল দেখিতে ॥ ধন্য মহাবীর তুমি গুরুর নন্দন । আমার পরম কার্য্য করিলে সাধন ॥ পঞ্চমুণ্ড দেহ আমি দেখিব নয়নে । ভীমের মস্তক আমি ভাঙ্গিব চরণে ॥ শুনি পঞ্চমুণ্ড দৌণি দিল সেইক্ষণে । হাত বুলাইয়া দেখে রাজা ছুৰ্য্যোধনে ॥ কৃষ্ণার দ্বিতীয় পুত্র ভীমের আকৃতি । ভীম বলি সেই মুণ্ড নিল কুরুপতি ॥ দুই করে সেই মুগু ভাঙ্গিয়া ফেলিল । তিলবৎ মুণ্ড গোটা গুড়া হয়ে গেল ॥ দেখিয়া কৌরবপতি মানিল বিস্ময় । পাণ্ডবের মুগু নহে জানিল নিশ্চয় ॥ একে একে পঞ্চমুগু ভাঙ্গে দুর্য্যোধন । জানিল পাগুৰ নহে এই পঞ্চজন ॥ পৰ্ব্বত সদৃশ মম গদ গুরুতর। | কত প্ৰহারিনু তার মস্তক উপর ॥৮ পৰ্ব্বত ভাঙ্গিতে পারে করিয়া আঘাত । দুরন্ত রাক্ষসগণে করিল নিপাত ॥ মারে বক হিড়িম্ব কিৰ্ম্মীর নিশাচর। জটাস্কর কীচক শতেক সহোদর ॥ হেন ভীমে কাটিতে কি দ্রোণির শকতি । এত বলি নিশ্বাস ছাড়িল কুরুপতি ॥ বিষাদ ভাবিয়া কহে দ্রোণের নন্দনে । দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্র ভাই পঞ্চজনে ॥ শিশুগণে সংহরিয়া কি কাৰ্য্য সাধিল । কুরুকুলে জলপিণ্ড দিতে না রাখিলা ॥ পাণ্ডবে মারিতে পারে কাহার শকতি । যাহার সহায় হরি কমলার পতি ॥ | নিৰ্ব্বংশ করিলে তুমি ভাই পঞ্চজনে । কুরুকুল বংশহীন হৈল এত দিনে ॥ এত বলি বিষাদ করিল বহুতর । হরিষ বিষাদে রাজা ত্যজে কলেবর ॥ কাহার শরণ লব কে করিবে ত্ৰাণ । তব কৰ্ম্মদোষে আজি হারাইব প্রাণ ॥ এইরূপে খেদ করি করয়ে বিচার । দম্ভ করি বলে তবে দ্রোণের কুমার ॥ রণ করি পণ্ডিৰে পাঠাব যমালয় । মারিব পাণ্ডবে আমি কহিনু নিশ্চয় ॥ ব্রহ্ম অস্ত্র আছে যেই আমার সদনে । কার শক্তি হইবেক তাহার বারণে ॥ এইমত তিনজনে করিয়া বিচার। ভাবে রণসিন্ধু মধ্যে কিসে হব পার ॥ এইরূপে তিনজন ভাবিতে লাগিল । ইতিমধ্যে বিভগবরী প্রভাত হইল । প্রাণভয়ে তিনজন তথা নাছি রয়। চলিল নগর মুখে সশঙ্ক হৃদয় ॥ ভারত সোপ্তিকপৰ্ব্ব অপূৰ্ব্ব কথন । পয়ার প্রবন্ধে কাশীদাস বিরচন ॥ সোপ্তিকপৰ্ব্ব সমাপ্ত ।