পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐর্ষিকপর্ব। ] নিত্যাভিললিতাদিভিঃ পরিবৃতং সীল পীতাম্বরম্ ॥ ግe 6: কাক চিল উড়ে পড়ে শিবা কঙ্ক আদি । খরস্রোতে বহিতেছে শোণিতের নদী ॥ মহাভারতের কথা অমৃত সমান । কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান ॥ অশ্বথামার মুগুচ্ছেদনার্থ ভীমের যাত্র । শিবির দেখিয়া রাজা দুঃখ অসম্ভব। অশ্রত বহে নেত্রে কালেদ যতেক পাণ্ডব ৷ ধৃষ্টদ্যুম্ন আদি হত দেখি যুধিষ্ঠির । বিলাপ করেন কত নেত্ৰে বহে নীর ॥ সকল মরিল রাজ্যে কিবা প্রয়োজন । বৃথা করিলাম এত অসাধ্য সাধন ॥ ভীম বলে রাজা শোক কর অনুচিত । আপনার কৰ্ম্মভোগ কে করে খণ্ডিত ॥ আপনি থাকিলে সৰ্ব্ব পাবে মহাশয় । অকারণে কর শোক ইতরের প্রায় ॥ কৰ্ম্মবশে জন্ম মৃত্যু হয় পুনঃ পুনঃ । কোথা ছিলে কোথা যাবে তাহ নাহি গণ ॥ কৰ্ম্মবশে আসি মিলে কেহ নহে কার । জন্মিলেই মৃত্যু আছে নহে খণ্ডিবার ॥ যে মরিল সে চলিল যথা কৰ্ম্মভোগ । কেবল শরীর ছাড়ে দৈবের সংযোগ ॥ কালপূর্ণ হৈলে পরে কে রাখিতে পারে। কত শত মহারাজ পুনঃ পুনঃ মরে ॥ অষ্টাদশ দিন যুদ্ধ করিয়া সকলে । সকলে জিনিয়া মৃত্যু হৈল নিশাকালে ॥ কালপূর্ণ হৈলে নরে বিধির নির্ববন্ধ। কালেতে সংহার করে শাস্ত্রীয় প্রবন্ধ ॥ ইথে শোক অনুচিত ভাবিয়া কি কাৰ্য্য । শাস্ত্রবিজ্ঞ হয়ে হও শোকেতে অধৈৰ্য্য ॥ অতঃপর দ্ৰৌপদী কহেন শোকাবেশে । অশ্বথামা মুণ্ড আনি দেহ মম পাশে ॥ দ্রোণির মস্তকে বদ্ধ আছে এক মণি । মুণ্ড কাটি সেই মণি যদি দেহ আনি ॥ তবে শোক নিবারণ হয়তো আমার । নহে ভ্ৰাতৃ পুত্ৰশোকে না বাচিব আর ॥ শুন ভীম মহাবীর তোমা সম নাই। বিক্রমে বিশাল তোমা করিল গোসাই ॥ স্থগন্ধি কুম্ৰমোদ্যানে জিনি যক্ষরাজে। হিড়িম্বে মারিলে তুমি অরণ্যের মাঝে ॥ ব্রাহ্মণ রক্ষণে বকে করিলে বিনাশ । কিৰ্ম্মীরে বধিয়া কৈলে কাননে নিবাস ॥ জয়দ্ৰথ ভয় হৈতে করিলে উদ্ধার । কীচকে বধিয়া মান রাখিলে আমার ॥ এখন এ শোকসিন্ধু মধ্যে ডুবে মরি। রক্ষ কর আমারে প্রতিজ্ঞ পুর্ণ করি ॥ দুঃশাসন রক্তপান কৈলে রণমাঝে । উরুভাঙ্গি ভুমেতে পাড়িলে কুরুরাজে ॥ প্রতিজ্ঞা পূরণে গদাঘাত কৈলে শিরে । সমুদ্র তরিয়া মরি গোস্কুরের নীরে ॥ আমার বচন ধর বধ অশ্বথাম । সকল নিস্ফল হৈল তোমার মহিমা ॥ এখন উচিত হয় এই সব কথা । শীঘ্ৰ মোরে আনি দেহ দ্রোণপুত্র-মাথা ॥ ব্রাহ্মণ হইয়া রাক্ষসের কৰ্ম্ম করে । নিদ্রাগত পেয়ে দুষ্ট সকলে সংহারে ॥ তাহার বিনাশে নাহি ব্ৰহ্মবধ ভয় । অধৰ্ম্ম করিল সেই দুষ্ট দুরাশয় ॥ কান্দিতে কান্দিতে এত দ্রৌপদী কহিল । অনুমতি হেতু ভীম ধৰ্ম্মে জানাইল ॥ যুধিষ্ঠির বলিলেন এই সে উচিত। কৰ্ম্ম অনুসারে শাস্তি শাস্ত্রের বিহিত ॥ এত শুনি ভামবার রথ আরোহিয়া । নকুলে সারথি করি চলিল ধাইয়া ॥ ভামের এতেক সজ্জা আরম্ভ দেখিয়া । গোবিন্দ বলেন ধৰ্ম্মরাজে সম্বোধিয়া ॥ অশ্বথাম বিনাশে পাঠাও বৃকোদরে । বিচার না করি রাজা মুক্ত দিলে তারে ॥ অসাধ্য সাধন তেই সিদ্ধি অসম্ভব । ংসার বিজয়ী সে, স্কে করে পরাভব ॥ পরাক্রম তাহার কি না আছ-বিদিত । না বুঝিয়া হেন কৰ্ম্ম কর বিপরীত ॥