পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ولا a e | নানাভূষণ ভূষণাঙ্গমঞ্জুরং কৈশোররূপংথুখং স মহাভারত। । ত্ৰিলোকেতে সেই এক মহাধনুৰ্দ্ধর । পরাক্রম করি জিনে সব চরাচর ॥ কি করিবে ভীম তার করি মহারণ । ভীম হৈতে ন হইবে তাহার দমন ॥ পূর্বের বৃত্তান্ত কহি, যবে ছিল বনে । অশ্বথাম নিরবধি ভ্ৰমিত কাননে ॥ দৈবে একদিন গেল দ্বারক ভুবনে । দেখিয়া বান্ধবগণ হরষিত মনে ॥ বিক্রম করিয়া বলে আমার সাক্ষাতে । ব্রহ্মশির অস্ত্র আমি জানি ভালমতে ॥ তাহা লৈয় চক্র মোরে দেহ চক্রপাণি । ত্ৰৈলোক্য জিনিতে পারি হেন অস্ত্র জানি ॥ অব্যর্থ আমার অস্ত্র জানে ত্রিভুবন । ইহা লৈয়া চক্র মোরে দেহ নারায়ণ ॥ উপরোধ হেতু আর দেরী না করিয়া । দ্রোণিকে দিলাম চক্র তখনি আনিয়া ॥ তুলিতে নহিল শক্ত রাখি চক্ৰধর । কহিল না লব চক্র রাখ চক্ৰধর ॥ - ইহার অধিক নম আছে ব্রহ্মশির । বজদণ্ডে জিনি আমি শুন যদুবীর ॥ পৃথিবী সংহার দেব কর এই বাণে । কাহারে না দিয়া অস্ত্র দিল মম স্থানে ॥ করিলাম জিজ্ঞাসা সে দ্রোণের নন্দনে । তবে চক্র চাহ কেন আমার সদনে ॥ অশ্বথাম বলে তোমা জিনিবার মনে । অস্ত্ৰ হৈতে শ্রেষ্ঠ চক্র জানিমু এক্ষণে ॥ কাৰ্য্য নাহি তোমা সহ বিবাদে আমার । এত বলি তথা হৈতে কৈল আগুসার । পূর্বের বৃত্তান্ত এই শুন মহাশয়। বুঝিয়া করিব কাৰ্য্য যেব মনে লয় ॥ দ্রোণপুত্র দুরাত্মা সে ক্রোধন চঞ্চল । ব্রহ্মশির অস্ত্র তার সদা করতল ॥ আমার বচনে ভূমি রাখ ভীম বীরে। শুনিয়া চিন্তিত বড় রাজা যুধিষ্ঠিরে ॥ সকল মঞ্জিল রাজ্য কি কাৰ্য্য বিশেষ । নিশ্চয় মরিব আমি শুন হৃষীকেশ ॥ .অগ্ৰে ভীম চলি গেল না শুনি বারণ। এখন উচিত যাহা কর নারায়ণ ॥ তোমা বিন গতি আর নাছি ত্রিভুবনে । বল বুদ্ধি পরাক্রম নাহি তোমা বিনে ॥ যে হয় উপায় এবে করহ উচিত । তোমা বিনা পাণ্ডবের অন্য নাহি স্থিত ॥ গোবিন্দ বলেন চল ভীমের পশ্চাং । বিলম্ব না কর আর শুন নরনাথ ॥ অৰ্জ্জুন সহিত হরি করিলা গমন । তাহার পশ্চাতে যান ধৰ্ম্মের নন্দন ॥ রথ রথী পদাতিক চলিল অপার । নানা বাদ্য কোলাহল হৈল আগুসার ॥ অশ্বথাম সর্ববসৈন্য করিয়া বিনাশ । ভয়ে পলাইয় রহে যথা মুনি ব্যাস ॥ তথা উপনীত হৈল ভীম মহাবাহু । অশ্বথামা দেখি যেন চন্দ্রে গিলি রাহু ॥ বাদ্য শব্দে অশ্বথামা কম্পিত হইল । ভীমের গর্জন শুনি বিস্ময় মানিল ॥ ভীমে দেখি অশ্বথামা করিল সাহস । মরণ চিন্তিল মনে রাখিবারে যশ ॥ অশ্বথামা অস্ত্র ধনু নাহি ধরে করে । মুষ্টি করি লইল ঈষিক সব্যকারে মন্ত্র পড়ি ছাড়িলেক দিয়া হুহুঙ্কার । নিষ্পাণ্ডব ক্ষিতি করে প্রতিজ্ঞ তাহার ক্রোধ করি অস্ত্র ছাড়ি করিল গর্জন । বাণের মুখেতে অগ্নি হয় বরিষণ ॥ হেনকালে তথা পার্থ গোবিন্দ আসিয়া । প্রলয় অনল উঠে সম্মুখে দেখিয় ॥ পার্থেরে কছেন কৃষ্ণ কি দেখহ আর । ক্ষণেক থাকিলে সৰ্ব্ব করিবে সংহার ॥ সম্বরণ অস্ত্র জান দ্ৰোণ-উপদেশে । সত্বরে সন্ধান পুর অস্ত্রের বিনাশে ॥ ক্ষণেক থাকিলে হবে অসাধ্য হে সখা । প্ৰলয় অনল উঠে নাহি যাবে রাখা ॥ অর্জন শুনিয়া আইলেন ক্রোধভরে । ! করতল ধরি অন্ত্র সাহসী অস্তরে।