পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২২ অৰ্দ্ধশ্বকেশমণিশং প্রবিভঞ্জভুষং বালেন্দুবদ্ধমুকুটং প্রণমামিরূপং । [ মহাভারত। আপনি দিলেন ভেদ কৌরব পাণ্ডবে । নহে তুমি প্রবৃত্ত হইলে কেন তবে ॥ সে কালে আপন ঘরে যেতে ঘদি তুমি । সম স্নেহ বলি তবে জানিতাম আমি ॥ যুদ্ধ যুক্তি দিলা তুমি পাণ্ডুর কুমারে । প্রবঞ্চন করি কৃষ্ণ ভাণ্ডিলা আমারে ॥ সব জানিলাম তুমি অনর্থের মূল । করিলা বিনাশ তুমি যত কুরুকুল ৷ কহিতে তোমার মৰ্ম্ম বিদরয়ে প্রাণ । তবে কেন বল তুমি উভয় সমান ॥ আমি সব শুনিয়াছি সঞ্জয়ের মুখে । ন। কহিলে স্বাস্থ্য নাহি জানাই তোমাকে ॥ কি কহিতে পারি আমি তোমার সম্মুখ । উচিত কহিতে পাছে মনে ভাব দুঃখ ॥ মুখ দুঃখ কহিবেক সবাকার স্থান । আর কিছু কহি তাহ শুন ভগবান ॥ অনাদি পুরুষ তুমি দেব ভগবান । বিশ্বেশ্বর হও তুমি পুরুষ প্রধান ॥ সবাকার মূল তুমি দেব জগন্নাথ । সহজে অবলা আমি কি কব সাক্ষাৎ ॥ কর্ণের আছিল শক্তি অর্জন নিধনে । তাহা দিয়া বিনাশিলে ভীমের নন্দনে ॥ যুধিষ্ঠির সহ যুক্তি করি যদুপতি । যুদ্ধেতে প্রবৃত্ত করাইলা তুমি রাতি ॥ ভামস্থত ঘটোৎকচ মায়াযুদ্ধ কৈল । ক্রোধে কৰ্ণ সেই অস্ত্ৰ ভৈমীরে মারিল ৷ ওহে কৃষ্ণ এ সকল তোমার মন্ত্রণ । কৰ্ম্ম সব মূল বলি প্ৰবোধিলা আমা ॥ তোমার যতেক কৰ্ম্ম ন পারি কহিতে । কুরু পণ্ডু সম মিল বলহ সভাতে ॥ চক্রব্যুহ দ্রোণাচাৰ্য্য করিল রচন । চক্রবৃহ যুদ্ধ মাত্র জানয়ে অর্জন ॥ আর কেহ নাহি জানে পাণ্ডব সভাতে । অভিমনু্য শুনেছিল থাকিয়া গৰ্ভেতে ॥ অভিমনু বধ কথা শুনিয়া অৰ্জ্জুন । জয়দ্ৰথে নাশ হেতু করিল সে পণ ॥ সঞ্জয়ের মুখে আমি শুনিয়াছি সব । - উপকার যত তুমি করেছ মাধব । মহাভারতের কথা অমৃত অর্ণবে । পাঁচালী প্রবন্ধে কহে কাশীরাম দেবে ॥ শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি গান্ধারীর শাপ । কুরুকুল বিনাশিলা বস্থদেব স্থত । কহিতে অনল উঠে কি কব অচ্যুত ॥ পুত্ৰশোকে কলেবর জ্বলিছে আমার"। রল দেখি হেন শোক হয়েছে কাহার ॥ শুন কৃষ্ণ আজি শাপ দিব হে তোমারে । তবে পুত্ৰশোক মোর ঘুচিবে অন্তরে ॥ অলঙ্ঘ্য আমার বাক্য না হবে লঙ্ঘন । জ্ঞাতিগণ হৈতে কৃষ্ণ হইনু নিধন ॥ পুত্ৰগণ শোকে আমি যত পাই তাপ । তুমি এ যন্ত্রণা পাবে দিলাম এ শাপ ॥ মম বধুগণ যেন করিছে ক্ৰন্দন । এইমত কান্দিবেক তব বধূগণ ॥ " তুমি যেন ভেদ কৈলা কুরু পাণ্ডবেতে । যদুবংশ তেন হবে আমার শাপেতে ॥ কৌরবের বংশ যেন হইল সংহার । শুন কৃষ্ণ এই মত হইবে তোমার ॥ গোবিন্দেরে শাপ দিল কুপিয়া গান্ধারী । শুনি কম্পমান হৈল ধৰ্ম্ম অধিকারী ॥ অন্তৰ্য্যামী হরি জানিলেন এ কারণ । সতীর অলঙ্ঘ্য বাক্য ন হবে লঙ্ঘন ॥ আমি জন্মিলাম ভূমি ভার নিবারণে । পৃথিবীর ভার যে ঘুচিল এত দিনে ॥ ঈষৎ হাসিয়া কৃষ্ণ বলেন বচন । মম জ্ঞাতি মারিতে পারয়ে কোনজন ॥ উঠহ গান্ধারী, নাহি করহ ক্ৰন্দন । শাপ দিলা তথাপি না কর সম্বরণ ॥ দুৰ্য্যোধন দোষে হৈল বংশের নিধন । ন জানিয়া আমারে শাপিল। অকারণ ॥ আমি যদি দোষে থাকি ফলিবেক শাপ । আপনার দোষে আমি পাব নমস্তাপ ॥