পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বমেধপর্ব। ] | তবে যমদগ্নিস্থত ভূগু-বংশপতি । gনৈছ তাহার কথা ধৰ্ম্ম নরপতি ॥ পৃথিবী জিনিয়া তিনি আনন্দিত মনে । পুথিবী দিলেন দান মরীচি-নন্দনে ॥ কখাপ পাইল তবে সব বসুমতী । আপন নন্দনে দিল করিয়া পরিতি ॥ ধন ধরা অগ্নি জল ইহা কারে নয় । শুন যুধিষ্ঠির রাজা শাস্ত্রে হেন কয় ॥ i পৃথিবী পালিয়া তার হয় নানা ধন । ভয় না করিহ তুমি ধৰ্ম্মের নন্দন ॥ . সে ধন আনিয়া রাজা যজ্ঞ কর স্বখে । ষ্টথে দোষ নাহি আমি কহিনু তোমাকে ॥ আনন্দ পাইয়া রাজা ব্যাসের বচনে । পুনরপি জিজ্ঞাসেন আনন্দিত মনে ॥ হুইল ধনের তত্ত্ব শুন মহামুনি । যজ্ঞ হেতু অশ্ববর কোথা পাব শুনি ॥ মুনি বলে অশ্ব আছে যুবনাশ্বপুরে । : আনিতে করহ যত্ন সেই অশ্ববরে ॥ সজ্ঞ হেতু অশ্ব পালিতেছে নরপতি । i শত কোটি সেনা আছে তাহার সংহতি ॥ ; যতনে পালয়ে অশ্ব যজ্ঞ নাহি করে । সেই ঘোড়া আন রাজা জানাই তোমারে । পরাজিয়া যুবনাশ্বে হয় আন তুমি | তবে যজ্ঞ সিদ্ধি হবে কহিলাম আমি ॥ ! যুধিষ্ঠির বলিলেন শুন দিয়া মন । : ছন্তু হেতু হবে সে রাজার সঙ্গে রণ ॥ কে আর করিবে যুদ্ধ নৃপতির সাথে । * মহারাজ যুবনাশ্ব খ্যাত পৃথিবীতে ৷ : ব্যাস বলিলেন রাজা চিন্তা কর কেনে । । হয় আনিবারে আজ্ঞা কর ভামসনে ॥ ! থক হিড়িম্বক আর কিৰ্ম্মর দুর্ব্যর । i কৈলাস মদিয়া কৈল যক্ষের সংহার ॥ } কৗচকে মারিল বীর বিরাটনরে । | শত ভাই দুৰ্য্যোধনে বধিল সমরে ॥ ভীম হৈতে হবে তোমা সিদ্ধ প্রয়োজন । ভীম আনিবেক ঘোড়া করিয়া যতন ॥ | শ্বেতং দ্বিবাহুং বরদং দক্ষিণং সগদেতরং ॥ ԳԵ-> আমি জানি ভীমের অসাধ্য নহে কৰ্ম্ম । হয় হেতু চিন্তা না করিহ তুমি ধৰ্ম্ম ॥ যুধিষ্ঠির বলেন করহ অবধান । বড় দুঃখী আছে ভীম করিয়া সংগ্রাম ॥ জর্জর ভীমের দেহ কৌরবের বাণে । তুরঙ্গ আনিতে তারে কহিব কেমনে ॥ বৃষকেতু মেঘবর্ণ দুই ত বালক । বিশেষ বাপের শোকে দহিছে পাবক ॥ কিমতে বলিব তারে তুরঙ্গ আনিতে । শুন মহামুনি বড় ভয় পাই চিতে ॥ এত যদি বলিলেন ধৰ্ম্ম নৃপবর । তাহ শুনি আনন্দিত বর বৃকোদর ॥ ভীম বলে মহারাজ করহ শ্রবণ । তুরগ আনিতে কহিলেন তপোধন ॥ আনিব তুরগ আমি এ নহে আশ্চৰ্য্য । পরাজিব যুবনাশ্বে কত বড় কাৰ্য্য । ধন আনিবারে তুমি পাঠাও অৰ্জ্জুনে । আমি আনি গিয়া অশ্ব জিনিয়া রাজনে ॥ একেশ্বর যাব আমি ভদ্রাবতীপুরে । আনিব যজ্ঞের অশ্ব জিনিয়া রাজারে ॥ সবান্ধবে রাজারে পাঠাব যমঘরে । অবশু আনিব ঘোড়া কারে ভীম ডরে। ইহা ভিন্ন আর নাহি আমার বিশ্রাম। শতেক বৎসর পারি করিতে সংগ্রাম ॥ কহিলেন যুধিষ্ঠির ভীমের বচনে । একাকী দুৰ্গমে তুমি যাইবে কেমনে ॥ বৃষকেতু বদন চাহেন যুধিষ্ঠির । রাজার ইঙ্গিতে তার পুলক শরীর ॥ যোড়হাতে কহিলেক ধর্মের গোচরে । ভীম সঙ্গে যাই আমি আজ্ঞা দেহ মোরে । যুধিষ্ঠির বলেন শুনহ প্রিয়তর। আছিল তোমার পিত। মহা ধনুৰ্দ্ধর } অৰ্জুন বধিল তারে করিয়া বিক্রম। তার বধে আমি পাইয়াছি মনোভ্ৰম ॥ পরিচয় নাহি ছিল কর্ণের সংহতি । সবাই বলিল তারে রাধার সন্ততি ॥