পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুষলপৰ্ব্ব । ] প্রণাম মন্ত্র—বৃষারূঢ়াং শুভ্যং শুভ্ৰাং ত্রিনেত্রাং, Ե-Գ(է "পিরতে হানিয়া হাত কান্দি উচ্চৈঃস্বরে। ভুমে গড়াগড়ি যান পার্থ ধনুৰ্দ্ধরে । দারুক সারথি বোধ করায় অর্জুনে । স্থির হও ধনঞ্জয় শোক ত্যজ মনে ॥ অকারণে শোক কৈলে কি হইবে আর । আমি যাহা কহি তাহ শুন সারোদ্ধার ॥ বিধি নীতি আছে যেই ক্ষত্রিয়ের ধৰ্ম্ম । আপনি সবার তুমি কর প্ৰেতকৰ্ম্ম ॥ পূৰ্ব্বেতে আমারে কহিলেন গদাধর । সৰ্ব্ব হৈতে বড় প্রিয় পার্থ ধনুৰ্দ্ধর ॥ যোগ আচরিয়া পরে পাইবে আমারে । এই কথা দারুক কহিব পাণ্ডবেরে ॥ সে কারণে এই কৰ্ম্ম তোমার বিহিত । সবার সৎকার কৰ্ম্ম করিতে উচিত ॥ বহুমতে সান্তানাদি করিল অর্জুনে । সৎকার করিতে পার্থ করিলেন মনে ॥ চন্দনের কাষ্ঠ তথা করি রাশি রাশি । জ্বালিলেন চিতানল গগন পরশি ॥ দেবকী রোহিণী বহুদেবের সহিত । অগ্নিকুণ্ডে প্রবেশ করিল হরষিত । রেবতী রামের সনে পশি হুতাশন । অগ্নিকার্য্য সবাকার করিল অর্জুন ॥ সবাকার অগ্নিকার্য্য করি সমাপন । বিধিমতে করিলেন শ্রাদ্ধাদি তপণ ॥ দারুক পুনশ্চ কয় অর্জনের প্রতি । অৰ্জুন বন্ধুর কার্য্য করহ সম্প্রতি ॥ স্ত্রী গণে লইয়া যাও হস্তিনানগরে । প্রভুর রমণীগণ বিদিত সংসারে ॥ তোমা বিনা কার শক্তি রাখিবারে পারি । সমুদ্র গ্রাসিবে এই দ্বারকানগরী ॥ আজ্ঞা কর আমি বনে যাই মহাশয় । শুনিয়া স্বীকার করিলেন ধনঞ্জয় ॥ এতেক বৃত্তান্ত পার্থে কহি মহামতি । দারুক চলিল যথা বনের নিবৃত্তি ॥ ফষ্ণের রমণীগণে লইয়া সংহতি । গেলেন হস্তিনাপথে পার্থ মহামতি ॥ দ্বারকা গ্রাসিল আসি সমুদ্রের জল । প্রভুর মন্দির মাত্র জগিয়ে কেবল ॥ এক শত পঞ্চ বর্ষ শ্ৰীমধুসূদন । মর্ত্যপুরে নিবসেন দ্বারক। ভুবন ॥ স্ত্রীগণে লইয়। পার্থ করেন গমন । হাতে ধরি গাওঁব অক্ষয় শরাসন ॥ হেনকালে দৈত্যগণ আছিল কোথায় । কৃষ্ণের রমণীগণে দেখিবারে পায় ॥ একত্র হইয়া যুক্তি করে সর্বজন । কৃষ্ণের রমণীগণে হরিব এখন ॥ অর্জন লইয়া যায় যতেক স্বন্দরী । কাড়িয়া লইব হেন হৃদয়ে বিচারি ॥ পার্থে আগুলিল আর সকল রমণী । হস্তে ধরি স্ত্রীগণের করে টানাটানি ॥ দেখিয়া কুপিত অতি বীর ধনঞ্জয় । গাণ্ডীব ধরিল বীর ক্রোধে অতিশয় ॥ অগ্নিদত্ত গাণ্ডীব অক্ষয় শরাসন । যাহাতে করেন পার্থ ত্ৰৈলোক্য শাসন ॥ দেবের বাঞ্ছিত ধনু অতি মনোহর । ! খাণ্ডবদাহন কালে দিল বৈশ্বানর ॥ ধরি ধনু হেলায়, হেলায় দিত গুণ । এবে গুণ দিতে শক্ত নহুেত অৰ্জ্জুন ॥ মহাভয় হৈল ধনু তুলিতে না পারি। কত কষ্টে গুণ দেন বহু শক্তি করি ॥ টানিতে না পারি ধনু আকৰ্ণ পূরিয়া । কিছু অল্প টানি, বাণ দিলেন ছাড়িয়া । মহাকোপে ছাড়িলেন বজ্রসম বাণ । দৈত্য অঙ্গে ঠেকি পড়ে তৃণের সমান ॥ বাছিয়া বাছিয়া বাণ বিন্ধে প্রাণপণে । অবছেলে বাণ ব্যর্থ করে দৈত্যগণে ॥ এড়িল অক্ষয় অগ্নি বাণ ধনঞ্জয় । যত বাণ এড়িলেন সব ব্যর্থ হয় ॥ যত বিদ্যা পাইলেন দ্ৰোণগুরু স্থান । যত বিদ্যা পাইলেন অমর ভুবন ॥ এ তিন ভুবনে যারে মানে পরাজয় । দৈত্য সনে রণে সৰ্ব্ব অস্ত্র ব্যর্থ হয় ॥