পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক এক সময়ে মনে হইত, যেন এক কটাহ উষ্ণ জলে তাহাকে ছাড়িয়া দেওয়া হইয়াছে। সকলে মিলিয়া পরামর্শ করিয়া তাহার দেহটাকে কিনিয়া লইয়াছে; সেটা যেন আর তাহার নিজের নাই। মাথায় সে টিকি নাই, কণ্ঠে সে তুলসীর মালা নাই, সে খালি পা নাই, সে খালি গা নাই, সে ধনঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য্যের টোল নাই, নদীর ধারের অশ্বখ-বৃক্ষ নাই, চণ্ডীমণ্ডপের কোণ নাই।--কিছুই নাই। সে নব-জন্ম লাভ করিয়া পূৰ্ব্বজন্মের সমস্ত বস্তু ঝাড়িয়া-বুড়িয়া ফেলিয়া দিয়াছে। কিংবা তাহার দেহ আর মন যেন বিবাদ করিয়া পৃথক হইয়া গিয়াছে। সন্ধ্যার সময় মনটা যখন নদীর ধারের অশ্বথবৃক্ষমূলে কি মাঠের ভিতর কৃষকদিগের মধ্যে বিচরণ করিতে থাকে, দেহখানা তখন হয় তা চমৎকার বেশভূষায় বিভূষিত হইয়া গাড়ী চড়িয়া DBDDDuDD BBS DD DDD BBBB BBLDD BB DBBD YYY বাপাইয়া পড়ে, দেহটা হয় তা তখন জলচৌকির উপর বসিয়া ভূত্যহস্তে সাবান-জলে পরিষ্কৃত হইতে থাকে। এইরূপে একটা কাশীনাথ সৰ্ব্বদা দুইটা কাজ করিয়া বেড়ায় অথচ কোনটাই তাহার সর্বাঙ্গসুন্দর হয় না, সম্পূর্ণও হয় না। কতদিন এইরূপে কাটিল। এক মাস দুই মাস করিয়া শ্বশুরালয়ে তাহার এক বৎসর কাটিয়া গেল। প্ৰথম কয়েকমাস তাহার মন্দ DDDBDDBD DB DDD SS DBB BBD BBB BDBD DDBB মোহে সে নিজের অবস্থার দোষগুণ বিশেষ পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখিবার সময় পায় নাই ; যখন পাইল, তখন দিন দিন শুকাইতে লাগিল। অপর কেহ এ কথা না বুঝিতে পারিলেও কমলা বুঝিল ; তাহার চক্ষু স্বামীর অবস্থা ধরিয়া ফেলিল। একদিন সে বলিল, তুমি শুকিয়ে যাচ্চ কেন ? কে বললে ? আমার চোখ বললে ? ভুল বলছে। কমলা ধরিয়া বসিল, কি হয়েছে আমাকে বলবে না ? ਵਿਲੀ ਕੇ !