পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুপমার প্ৰেম প্ৰথম পরিচ্ছেদ বিরহ vএকাদশ বর্ষ বয়ঃক্রমের মধ্যে অনুপমা নবেল পড়িয়া পড়িয়া মাথাটা একে স্বারে বিগড়াইয়া ফেলিয়াছে। সে মনে করিল, মনুষ্যহৃদয়ে যত প্ৰেম, যত মাধুরী, যত শোভা, যত সৌন্দৰ্য্য, যত তৃষ্ণা আছে, সব খুটিয়া বাছিয়া একত্ৰিত করিয়া নিজের মস্তিষ্কের ভিতল জমা করিয়া ফেলিয়াছে ; মনুষ্য-স্বভাব, মনুষ্য-চরিত্র তাহার নখদৰ্পণ হইয়াছে।। জগতের শিখিবার পদার্থ আর তাহার কিছুই নাই ; সব জানিয়া ফেলিয়াছে, সব শিখিয়া ফেলিয়াছে । সতীত্বের জ্যোতিঃ সে যেমন দেখিতে পায়, প্ৰণয়ের মহিমা সে যেমন: বুঝিতে পারে, জগতে আর যে কে তেমন সমজদার আছে, অনুপমা ভাহা কিছুতেই বিশ্বাস করিতে পারে না । অনু ভাবিল, সে একটি মাধবীলতা ; সম্প্রতি মুঞ্জরিয়া উঠিতেছে ; এ অবস্থায় আশু সহষ্কাব-শাখা-বেষ্টিত না হইলে, ফোট ফোট কুঁড়িগুলি কিছুতেই পূর্ণ বিকশিত হইতে পারিখে না। তাই খুজিয়া পাতিয়া একটি নবীনকান্তি-সহকার মনোনীত করিয়া লইল এবং দুই-চারি দিবসেই তাঙ্গাস্কে মন-প্ৰাণ জীবন যৌবন সব দিয়া ফেলিল ; মনে মনে মন দিবার বা নির্ধার সকলেরই সমান অধিকার, কিন্তু জড়াইয়া ধরিবার পূৰ্ব্বে সহকারটার মতামতেরও ঈষৎ প্রয়োজন হয়। এইখানেই মাধবীলতা কিছু বিপদে পড়িয়া গেল ? নবীন নীরোদ কাস্তুকে সে কেমন করিয়া জানাইবে যে, সে ভঁাহার মাধবীলতাফুটনোমুখ হইয়া দাড়াইয়া আছে ; তাহাকে আশ্রয় না দিলে এখনই কুঁড়ির ফুল লইয়া মাটিতে লুটাইতে লুটাইতে প্ৰাণত্যাগ করিবে ! কিন্তু সহকার এত জানিতে পারিল না । না জানুক, অনুপমার