পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8እ বাল্য-স্মৃতি কলিকাতায় আসিয়া যে আমার কি হইল, তাহা ঠাওরাইতে পারি না । চোখে এত জলই বা কোথা হইতে আসে, ভাবিয়া পাই না । আমাকে কেহ কঁাদিতে দেখে নাই। জিদ কারিয়া আস্ত খেজুরের ছড়ি আমার পৃষ্ঠে ভগ্ন করিয়াও বাল্যকালে গুরুমহাশয় র্তাহার সাধ পূর্ণ করিতে পারেন নাই। ছেলেরা বলিত, সুকুমারের গা ঠিক পাথরের মত। আমি মনে মনে বলিতাম, গা পাথরের BB DDYDD KLDDBD BBDBSS BB BBDD DBBDBD DB BD DS বাস্তবিক কঁাদিতে আমার লজ্জা বোধ হইত, এখনও হয় ; কিন্তু সামলাইতে পারি না। লুকাইয়া কেহ কোথাও নাই দেখিয়া, চোরের চুরি করার মত-দুবার চক্ষু মুছিয়া ফেলি। স্কুলে পড়িতে যাই, একপাল লোক ভিক্ষা করিতেছে। কাহারও হাত নাই, কাহারও পা নাই, কাহারও। চক্ষু দুটী নাই, এমনই কত কি নাই ধরণের লোক দেখি ; তাহা আর বলতে পারি না । তিলক কাটিয়া খঞ্জনী হাতে লইয়া। “জয়-রাধে” বলিয়া ভিক্ষা করে তাহাই জানি, এসব ভিখারী আবার কি রকমের ? মনের দুঃখে মনে মনেই বলিতাম, ঠাকুর । এদের আমাদের দেশে পাঠিয়ে দাও । যাক পোড়া ভিখারীর কথা—আমার কথা বলি। চক্ষু অনেকটা সড়গড় হইলেও আমি একেবারে বিদ্যাসাগর হইতে পারিলাম না । মধ্যে মধ্যে আমাদের দেশের মা সরস্বতী যে কোথা হইতে আসিয়া আমার স্কন্ধাদেশে ভয় করিতেন, বলিতে পারি না । তঁহার আজ্ঞাধনী হইয়া যে সকল সৎকৰ্ম্ম করিয়া ফেলিতাম, তজন্য এখনও আমার সে সরস্বতীর উপর ঘূণা হইয়া আছে। বাসায় কাহার কি অনিষ্ট করিব, সর্বদা খুজিয়া বেড়াইতাম। রামবাবু তিন ঘণ্টা ধরিয়া তাহার দেশী কালাপেড়ে কাপড় কুঞ্চিত করিলেন ; বিকালে বেড়াইতে যাইবেন ; আমি অবসর বুঝিয়া কাপড়খানি খুলিয়া টানিয়া প্ৰায় সোজা করিয়া রাখিয়া দিলাম। তিনি বিকালে অবস্থা দেখিয়া বসিয়া পড়িলেন। আমার আর আমোদ ধরে না । জগন্নাথবাবুর অফিসের বেলা হইয়া গিয়াছে, তাড়াতাড়ি আহার করিতে বসিয়াছেন, এক মুহুৰ্ত্ত বিলম্ব সহিতেছে না। আমি সময় বুঝিয়া ভঁাহার